এখনো শুরু হয়নি ডুবে যাওয়া কার্গোর উদ্ধারকাজ

বঙ্গোপসাগরের ১২ নম্বর ফেয়ারওয়ে বয়ার কাছে তলা ফেটে ডুবে যাওয়ার একদিন পরও কয়লাবোঝাই কার্গোটির উদ্ধার অভিযান শুরু হয়নি।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাগেরহাটের মোংলা বন্দরের ফেয়ারওয়ের কাছে হিরণ পয়েন্টে এক হাজার ১০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় ‘এমভি আইচগাতি’ নামের কার্গো জাহাজটি।
বসুন্ধরা গ্রুপের একটি জাহাজ পাশ দিয়ে যাওয়ার পথে ‘এমভি আইচগাতি’ ডুবে যায়। ফলে সৌভাগ্যক্রমে বঙ্গোপসাগরে ভাসতে থাকা ১৪ নাবিক ও ক্রুকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।
এদিকে আজ শনিবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড ও জাহাজের মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ কে এম ফারুক হাসান মুঠোফোনে এনটিভিকে জানান, ডুবে যাওয়া কয়লাবোঝাই কার্গোটি উদ্ধারে যৌথ প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। তবে বঙ্গোপসাগরের স্রোতের তীব্রতা বেশি হওয়ায় এই মুহূর্তে উদ্ধার অভিযান শুরু করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে এ ঘটনায় মংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কার্গোটির মাস্টার সোহেল রানা।
এর আগে ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে এক হাজার ২৩৫ মেট্রিকটন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় ‘এমভি সি হর্স’ নামের একটি লাইটারেজ জাহাজ।
এর আগে ২০১৫ সালের ২৭ অক্টোবর ৫১০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে ডুবে যায় ‘জিয়া রাজ’ নামের আরেকটি লাইটারেজ জাহাজ। সেসব স্থান থেকে কয়লা উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি দুর্ঘটনাকবলিত জাহাজগুলো।