গুলশান-শোলাকিয়ার হামলাকারীদের সঙ্গে কল্যাণপুরের জঙ্গিদের মিল

রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ার হামলাকারীদের সঙ্গে কল্যাণপুরের জঙ্গিদের মিল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ বিফ্রিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কল্যাণপুরের অভিযানে উদ্ধারকৃত বিস্ফোরক, জঙ্গিদের ব্যবহৃত পোশাক-আশাক এবং গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলাকারীদের ব্যবহৃত বিস্ফোরক ও পোশাক-আশাকের মধ্যে মিল পাওয়া গেছে। আগের দুই ঘটনার সঙ্গে এদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। তবে তদন্তের পরই বিষয়টি জানা যাবে।
কল্যাণপুরে যৌথ বাহিনীর ‘স্টর্ম টোয়েন্টসিক্স’ নামে অভিযানে নিহত জঙ্গিরা দু-একদিনের মধ্যে বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আসাদুজ্জামান খাঁন আরো বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গিরা মাদকাসক্ত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় জঙ্গি নির্মূল হবে। জনগণের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কল্যাণপুরের মতো এ ধরনের অভিযান (ব্লক রেইড) চলতে থাকবে। যেখানে প্রয়োজন মনে করা হবে, সেখানেই এ ধরনের অভিযান চলবে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১টার দিকে কল্যাণপুরের ৫ নম্বর রোডে ‘জাহাজ বিল্ডিং’ নামে পরিচিত সাততলা ভবনটিতে অভিযানে যান পুলিশের বিশেষায়িত দল সোয়াতের সদস্যরা। এ সময় ভবনের পঞ্চম তলা থেকে জঙ্গিরা ককটেল ছোড়ে। পরে ভবনটির আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
জাহাজ বিল্ডিংয়ের পাশের ভবনগুলোর ছাদে অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ঘটনাস্থলের আশপাশের সবকটি সংযোগ সড়কেও ব্যারিকেড দেয় পুলিশ।
রাতভর পরিকল্পনার পর ভোর ৫টা ৫১ মিনিটে শুরু হয় ‘অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টিসিক্স’। ঘণ্টাখানেক মুহুর্মুহু গুলির শব্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নয় জঙ্গি নিহত হয়। আটক করা হয় এক সন্দেহভাজন জঙ্গিকে।