জুলাই শহীদের মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া গ্রামে জুলাই শহীদের মেয়ে কলেজছাত্রী লামিয়াকে (১৭) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মো. ইমরান মুন্সী (১৯) নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ রোববার (১১ মে) বিকেল ৫টার দিকে বরিশালে কাশিপুর ইছাকাঠি এলাকা থেকে ইমরানকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বিশেষ একটি দল। গ্রেপ্তার ইরমান দুমকি উপজেলার পাঙ্গাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
এর আগে গত ১৮ মার্চ সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর ২৬ এপ্রিল রাজধানীর শেখেরটেকে একটি ভাড়াবাসায় আত্মহত্যা করেন শহীদ কন্যা লামিয়া। পরদিন তাকে তার পাঙ্গাসিয়া গ্রামে তার বাবার কবরের পাশে কবর দেওয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ পাঙ্গাসিয়া গ্রামে শহীদ বাবার কবর জিয়ারত করে নানা বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন লামিয়া। এ ঘটনায় লামিয়া বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে দুমকি থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সিফাত মুন্সী ও সাকিব মুন্সী নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ২২ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডে আবেদন করা হয়। ২৭ মার্চ আদালত এক আসামিকে যশোর শিশু সংশোধনাগারে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন। জিজ্ঞাসাবাদে সে ইমরান মুন্সীর জড়িত থাকার কথা জানায়। মামলার তদন্ত শেষে গত ৭ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ওসি জাকির হোসেন আরও জানান, ইমরানকে গ্রেপ্তার করতে একাধিকবার অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে আত্মগোপনে থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। আজ রোববার পটুয়াখালী গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে (ইমরান মুন্সী) বরিশালের কাশিপুরের ইছাকাঠি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। তাকে আগামীকাল আদালতে সোপর্দ করা হবে।