মোংলায় বাণিজ্যিক জাহাজে ডাকাতি

মোংলা বন্দরের পশুর নদীর বেসক্রিক এলাকায় নোঙর করে থাকা বাণিজ্যিক জাহাজ ‘এমভি সেজুঁতি’তে সশস্ত্র ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। দেশীয় অস্ত্রের মুখে জাহাজের ক্রু ও স্টাফদের জিম্মি করে মারধর করে প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে ১৪ সদস্যের সংঘবদ্ধ ডাকাত চক্র। আজ সোমবার (২৬ মে) ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান পিএনএন শিপিং লাইন্সের মালিকানাধীন জাহাজটি ভারত থেকে পাথর বোঝাই করে ২০২৩ সালের ২২ জুন মোংলা বন্দরের বেসক্রিক এলাকায় নোঙর করে পণ্য খালাস শেষে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে প্রায় এক বছর ধরে চ্যানেলে আটকে রয়েছে। জাহাজটিতে চিফ অফিসারসহ ৭ জন ক্রু অবস্থান করছিলেন।
শিপিং এজেন্ট আল সাফা শিপিং লাইন্সের খুলনাস্থ ম্যানেজার শরিফ জাহিদুল করিম অমিত জানান, ভোর রাতে একটি ফিশিং ট্রলারে করে দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রসহ ১৪ জনের ডাকাতদল হানা দেয়। নাবিকদের রশি দিয়ে বেঁধে প্রায় দুই ঘণ্টা তাণ্ডব চালায় তারা। এ সময় জাহাজের পণ্য খালাসে ব্যবহৃত গ্রাফস্ট, জাহাজ বাঁধার ওয়াররোফ, ইঞ্জিনের বেয়ারিং, বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল, মোবিল, রসদ ও নাবিকদের ব্যবহৃত ৭টি মোবাইলফোন লুটে নেয়। ডাকাতদের মারধরে তিন জন ক্রু আহত হন, যাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শরিফ জাহিদুল করিম অমিত আরও জানান, জাহাজটিতে এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ডাকাতির ঘটনা ঘটল। সর্বশেষ ঘটনায় প্রায় ২২ লাখ টাকার মালামাল লুট হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, কোস্টগার্ড ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা (ঢাকা) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন অর রশীদ জানান, লুট হওয়া মালামাল উদ্ধার ও ডাকাতদের গ্রেপ্তারে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) মো. মাকরুজ্জামান বলেন, ঘটনার বিষয়ে অবহিত হয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।