আজ ঢাকার বাতাসের মান ‘সহনীয়’

উন্নতি হয়েছে ঢাকার বায়ুমানের। গত কয়দিনের বৃষ্টির কারণে প্রায় কিছুদিন ধরে ঢাকার বাতাসের মান মাঝারি পর্যায়ে স্থিতিশীল রয়েছে। যা শহরবাসীর জন্য স্বস্তির খবর।
বুধবার (২৮ মে) বিশ্বে বায়ুদূষণের তালিকায় ১৩তম অবস্থানে রয়েছে শহরটি। আজ ঢাকার বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে। সকাল ৯টার দিকে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ৯৯। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান নির্ধারণ সংস্থা আইকিউএয়ার এ তথ্য জানিয়েছে।
আজকের তালিকায় সবচেয়ে দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে ভিয়েতনামের হ্যানয়, যার একিউআই স্কোর ১৮৮। এরপর যথাক্রমে ১৬৬, ১৫৬ ও ১৩৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা, ভারতের দিল্লি ও দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচন। তালিকায় পরবর্তী দুটি স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল, যার স্কোর যথাক্রমে ১২৭।
একিউআই মান অনুযায়ী, ৫০ থেকে ১০০ স্কোর থাকলে তখন বায়ুর গুণমানকে ‘মাঝারি’ বলে বিবেচনা করা হয়। একিউআই সূচক ১০১ থেকে ১৫০ এর মধ্যে হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এ সময় সাধারণত সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় ধরে বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে হলে ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়, ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয়। এ ছাড়া ৩০১ এর বেশি হলে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই বায়ুদূষণজনিত সমস্যায় ভুগছে। শীতকালে এখানকার বায়ুমান সাধারণত সবচেয়ে খারাপ থাকে, আর বর্ষাকালে তুলনামূলকভাবে উন্নত হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতিবছর বিশ্বে আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়। এসব মৃত্যুর প্রধান কারণ হলো স্ট্রোক, হৃদরোগ, দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসকষ্ট (সিওপিডি), ফুসফুসের ক্যানসার ও শ্বাসযন্ত্রের তীব্র সংক্রমণ।