বান্দরবানে ঝড়ে ভেঙে পড়েছে গাছ, পাহাড় ধসের শঙ্কায় মাইকিং

বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে বান্দরবানে বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলার সাতটি উপজেলায় থেমে থেমে মাঝারি ও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও গুঁড়িগুঁড়ি, কখনও মুষলধারে বৃষ্টির ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে সড়কে পড়ছে। এতে বান্দরবানের রুমা, থানচি, লামা, আলীকদম, রোয়াংছড়ি, সূয়ালক এবং পৌর এলাকার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলো পিচ্ছিল ও বিপজ্জনক হয়ে পড়েছে। পাহাড়ি সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৯ মে) বিকেল থেকে শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে আলীকদমের বিভিন্ন সড়কে গাছ ভেঙে পড়ে। সন্ধ্যার পর থেকে ঝড়ো বাতাসের তাণ্ডবে সড়কে গাছ ভেঙে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গাছ সরিয়ে নেওয়ার পর ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বনরুপা এলাকার বাসিন্দা সাজ্জাদ শাহীন ও জাহাঙ্গীর বলেন, বৃষ্টির ফলে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তারা অভিযোগ করে বলেন, পাহাড় কাটা মাটি ধসে সড়কে নেমে আসায় বৃষ্টি হলেই সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বনরুপায় পাহাড় কাটা বন্ধ না হলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে, যা প্রাণহানির কারণ হতে পারে।
আলীকদমের মঞ্জুর আলম বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের তাণ্ডবে সড়কে গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে গাছ সরানোর পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে জেলায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। পাহাড় ধসে প্রাণহানির আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতিগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’