প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আশা জামায়াতের
প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আশা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ সোমবার (২ জুন) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকের পর দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে আদালতের রায় বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি৷ প্রতীক ও নিবন্ধন দুটোর বিষয়েই কমিশন ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আশা করি দ্রুত কোর্টের রায় বাস্তবায়ন করবে ইসি।’
হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘আদালত গতকাল রায়ে ২০১৩ সালের পূর্বে নিবন্ধনের যে অবস্থায় ছিল, সে অবস্থা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন। আমরা সে জন্য ফুল কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেছি৷ বৈঠকে রায় বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা করেছি৷ তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। দ্রুত রায কার্যকর করবেন বলে জানিয়েছেন। দেশ-জাতি সবাই তাকিয়ে আছে। যেন দ্রুত বাস্তবায়ন করে সেই আশা করি।’
প্রতীকের বিষয়ে এই জামায়াতনেতা বলেন, ‘২০১৩ সালের আগের আমাদের যে অবস্থা ছিল; যেমন আমি নিজে ২০০৮ সালের নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে জয়ী হয়েছিলাম। সে অবস্থায় ফিরে যেতে হবে।’
২০১৬ সালে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক কোনো দলকে না দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক অর্ডারের কী হবে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতের রায় বড় নাকি প্রশাসনিক অর্ডার বড়।
গতকাল রোববার (১ জুন) রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
এর আগে গত ১৪ মে জামায়াতের নিবন্ধন ও প্রতীক সংক্রান্ত মামলার আপিলের শুনানি শেষ করে রায় ঘোষণার জন্য ১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত। গত বছরের ২২ অক্টোবর খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন আপিল বিভাগ। পরে ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়।
এক রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছিল হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।