পশুর হাটগুলোতে রংবেরঙয়ের সাজসজ্জার পসরা

মুসলমানদের দুই বৃহত্তম উৎসবের একটি ঈদুল আজহা। কোরবানির ঈদে পোশাকের হাটে ভিড় দেখা যায় না। পশুর হাটেই থাকে মূল আকর্ষণ। পছন্দের গরু-মহিষ বা ছাগল কিনে অনেকেই চান সুন্দর করে সাজাতে। কাগজের মালা, জরির মালা বা ঘণ্টা দিয়ে সাজানো হয় কোরবানির পশুকে।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) রাজধানীর গাবতলী কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, হাটের মূল ফটকে রয়েছে বেশ কয়েকটি পশুর সজাসজ্জার সরঞ্জামাদির দোকানে। এতে রয়েছে বিভিন্ন রকমের মালা, ঝুমকা, ঘণ্টা ও রশি । কোনো ক্রেতা হাট থেকে কোরবানির পশু কিনে নিয়ে বের হতে গেলেই চোখে পড়বে এসব রঙ-বেরঙের মালা, ঝুমকা আর ঘণ্টা।
‘কোরবানির লাইগা কয়েক লাখ টাকা দিয়া মাইনষে গরু কিনে। পছন্দ কইরা এত দাম দিয়া গরু কিইনা সখ কইরা মালা পরায়। এত টাকা দিয়া গরু কিইনা দুই-চার, পাঁচশ টাকা তো এমনি খরচ করা যায়। গরুর বেচাকেনা বেশি হলে আমগো বেচাকেনাও বেশি হয়। এ বছর এখনও তেমন বেচাকেনা শুরু হয় নাই। এখনও হাটই জমে নাই। হাট জমলে আমগো বেচাকেনা বাড়ত’, কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর গাবতলীর কোরবানির পশুর হাটে পশুর সাজসজ্জার উপকরণ বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম।

দোকানগুলোতে শোভা পাচ্ছে লাল, হলুদ, কমলা ও সবুজসহ নানা রঙের নানা নকশার কাগজ ও জরির মালা। সঙ্গে আছে ছোট-বড় ঝুমকা ও ঘণ্টা। এ ছাড়া পাট ও লাইলনের বিভিন্ন রশিও পাওয়া যায় এসব দোকানে। দামও খুব বেশি নয়, নাগালের মধ্যেই।
বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, এগুলো তো সখের জিনিস তাই মানুষ খুব বেশি দামাদামি করি না। এখানে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামের মালা পাওয়া যায়। দড়িও আছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে।

রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে গাবতলী হাটে চাচার সঙ্গে কোরবানির পশু কিনতে আসেন মিনহাজ। দুই লাখ টাকা দিয়ে গুরু কিনেছেন তারা। এরপর মিনহাজ আসেন দড়ি কিনতে। এখানে এসে তাদের মালা পছন্দ হয়। ২০০ টাকার দড়ি কেনার পর একটি মালাও কিনেছেন তিনি। মিনহাজ বলেন, ‘আমাকে চাচ্চু পাঠিয়েছে দড়ি কিনতে। কিন্তু এখানে এসে আমার মালাগুলো পছন্দ হয়েছে। তাই ২০০ টাকা দিয়ে একটি মালাও কিনলাম।’

কাওসার নামের এক বিক্রেতা বলেন, ‘আমি প্রতিবছরই এখানে মালা, দড়ি-ঘণ্টাসহ সাজানোর জিনিসপত্র বিক্রি করি। এ বছর এখনও বিক্রি তেমন শুরু হয়নি। তবে হাট জমে উঠলে আমাদের বিক্রিও বাড়বে।’