গাবতলী হাটে ‘মালিঙ্গা’!

ক্রিকেটবিশ্বে ‘স্লিং অ্যাকশন’-এর জনক হিসেবে পরিচিত শ্রীলঙ্কার গতিদানব লাসিথ মালিঙ্গা।
সোনালি রঙে রাঙানো, ঘন কোঁকড়ানো চুলের এই বোলারকে চিনে না এমন ক্রিকেটপ্রেমী নেই বললেই চলে। অদ্ভুত বোলিং অ্যাকশন ও নিখুঁত ইয়র্কারের জন্য বিখ্যাত এই বোলার বিশ্বজুড়ে ব্যাটারদের আতঙ্কের নাম।
শিরোনাম ও সূচনা পড়ে আপনারা নিশ্চয় ভাবছেন রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে কেন এলেন এই লঙ্কান তারকা! বিষয়টা আসলে তা নয়, বিগত কয়েক বছর ধরে ঈদুল আজহা এলেই বাহারি নামে বিশাল আকৃতির গরু দেখা যায় হাটগুলোতে। ফ্রিজিয়ান জাতের এসব গরু ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে বেশ।

এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেও বাজারে এসেছে বিভিন্ন বাহারি নামের এসব গরু। দেশের বিভিন্ন বাজারের মতো রাজধানীর বৃহৎ পশুর হাট গাবতলীতে দেখা মিলে ‘মালিঙ্গা’ নামের ফ্রিজিয়ান ফ্ল্যাগ-বি জাতের এক গরুর।
বিশাল বড় দানবাকৃতির এই গরুর ওজন আনুমানিক ৩৫ মনের মতো। খুলনা থেকে গাবতলির হাটে গরুটি গত রোববার (১ জুন) নিয়ে আসেন মোহাম্মদ মিন্টু।
কোরবানির জন্য প্রস্তুত মালিঙ্গা। ইতোমধ্যে কয়েকজন ক্রেতা দামাদামি করেও মালিঙ্গাকে নিজেদের গোয়ালে ভেড়াতে পারেননি। বিক্রেতা মিন্টু গরুটির দাম হাঁকাচ্ছেন ১৪ থেকে সাড়ে ১৪ লাখ টাকা।
বিক্রেতা মিন্টু বলেন, ‘আমার গরুটি ৪ বছরের মতো বয়স হবে। গত দুই বছর ব্যাপক শ্রম দিয়ে এবারের ঈদের জন্য প্রস্তুত করেছি। এর ওজন ৩৫ মনের বেশি হবে। আমি ১৪ থেকে সাড়ে ১৪ লাখের মতো দাম চেয়েছি। কয়েকজন ক্রেতা ইতোমধ্যে দামাদামি করে গেছেন। আট-নয় লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছে। ইচ্ছে আছে ১২ লাখের মধ্যে এলেই ছেড়ে দেব।’

মিন্টু বলেন, সবাই এসে মালিঙ্গার সঙ্গে ছবি তুলে, কেউ ভিডিও বানায়। অনেকেই আবার দাম জিজ্ঞাসা করে চলে যায়। তবে যারা সত্যিকারের ক্রেতা তারা নিয়ে যাবে।
এই বিক্রেতা জানান, প্রায় সাড়ে ৫ ফুটের মতো উঁচু মালিঙ্গা। লম্বায় ১০/১১ ফুট হবে। ওর জন্য সব সময় ফ্যান চালিয়ে রাখতে হয়। না হয় গরমে সমস্যা হয়। নিয়মিত শুকনো খড়, কাঁচা ঘাস, ভুট্টা, খেসারি, জবের সংমিশ্রণে তৈরি ভুসি খাওয়াতে হয়।