এনটিভি অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ, ম্যাজিস্ট্রেটের স্বপ্রণোদিত মামলা

গত ২৯ মে ‘নওগাঁর বদলগাছীতে হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার কার্পেটিং’ শিরোনামে এনটিভির অনলাইনে ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা গ্রহণ করেছেন নওগাঁর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বদলগাছী আমলি আদালত।
গতকাল সোমবার (৯ জুন) সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহম্মেদ স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ সুপারকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালত ১১ আগস্টের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এলজিইডি সুত্রে জানা যায়, গোপালপুর থেকে হাসিমপুর ৭৩০ মিটার সড়কে ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৩ টাকা ব্যয়ে এই কার্পেটিং কাজ শেষ হয়। কিন্তু তখনই দেখা যাচ্ছে সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়রা বলছে, শুরু থেকেই কাজের গুণগত মান খারাপ ছিল। এই সড়ক নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তদন্ত করে পূনরায় কার্পেটিং করার দাবি তাদের।
সরেজমিনে গেলে এক কৃষক হাত দিয়ে টেনে টেনে রাস্তার কার্পেটিং তুলে দেখান। আবার কেউ কেউ বলেন, এমন কাজ কখনোই আগে দেখেনি তারা।
হাসিমপুর গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দার সাথে কথা হলে তারা জানান, রাস্তায় বালু আছে, ধান শুকানো খড় আছে। সেগুলো পরিষ্কার না করেই তারা পিচঢালাই দিয়েছে। তারা পিচ ভালো করে ঢালেনি। সেখানে এলজিইডি কার্যালয়ের কেউ ছিল না। তাদের যোগসাজসে এমন অনিয়ম হয়েছে।
এই সড়কের কাজের ঠিকাদার ছিলেন মতিউর রহমান। তিনি কাজটি শহিদুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করে দেন। পরে শহিদুল ইসলাম সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজ করেন।
ঠিকাদার শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা শাহিনূল ইসলাম ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও মুঠোফোনে বলেন, ওখানে গেছিলাম। রাস্তাটি দেখেছি। বৃষ্টির কারণে একটু সমস্যা হয়েছে। আমি ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলেছি,মেরামতের মাল পৌঁছে গেছে। তারা মেরামত করে দেবে।