সাংবিধানিক সংস্কারে বাংলাদেশকে সহায়তা করতে আগ্রহী কমনওয়েলথ

সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে কমনওয়েলথ আগ্রহী বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ে।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে মঙ্গলবার (১০ জুন) অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ আগ্রহের কথা জানান কমনওয়েলথ মহাসচিব। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, যদি বাংলাদেশের প্রয়োজন হয়, বিশেষ করে সাংবিধানিক সংস্কারের জন্য আমরা সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
বচওয়ে বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সহায়তা করা আগামী পাঁচ বছরের জন্য কমনওয়েলথের অন্যতম প্রধান অগ্রাধিকার। অন্যান্য অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে রয়েছে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সদস্য রাষ্ট্রগুলিকে সহায়তা করা।
কমনওয়েলথকে ২.৭ বিলিয়ন মানুষের একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে উল্লেখ করে কমনওয়েলথ মহাসচিব বলেন, বর্তমানে সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বার্ষিক বাণিজ্য প্রায় ৮৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং আগামী বছরগুলিতে এটি কমপক্ষে ১ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কমনওয়েলথের অনেক সদস্য দেশ জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা প্রভাবিত এবং এদের মধ্যে অনেকেই আয়তনে ছোট। আমরা তাদের জলবায়ু অর্থায়নে প্রবেশাধিকার পেতে সাহায্য করার চেষ্টা করব।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস কমনওয়েলথ মহাসচিবকে খেলাধুলার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে এবং সদস্য রাষ্ট্রগুলির মধ্যে যুবকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর আহ্বান জানান। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, খেলাধুলা কেবল বিনোদনের একটি মাধ্যম নয়, এটি এক ধরনের সামাজিক দিকনির্দেশনা। আমরা ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করছি। খেলাধুলা কমনওয়েলথের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকার একটি ভালো উপায় হতে পারে।
কমনওয়েলথ মহাসচিব জানান, তারা এই মাসে ঢাকায় একটি যুব অনুষ্ঠান আয়োজন করতে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কমনওয়েলথ জনসংখ্যার ১.৫ বিলিয়ন মানুষ তরুণ এবং তারা তাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে জড়িত করার চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থীদের জন্য কমনওয়েলথ বৃত্তি পুনরুজ্জীবিত করারও পরিকল্পনা করছেন বলেও জানান শার্লি আয়োরকর বচওয়ে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব লামিয়া মোরশেদ এবং যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।