এনটিআরসিএর নিয়োগ প্রত্যাশীদের ওপর লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) নিয়োগ প্রত্যাশীদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
আজ রোববার (১৫ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বিক্ষোভকারীরা বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) আওতায় শিক্ষক নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা ও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার প্রতিবাদ জানিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছিলেন। তারা সচিবালয়ের দিকে পদযাত্রা শুরু করলে পুলিশ বাধা দেয়। তখনই শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ পাঁচ-ছয়টি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জ করে। বিক্ষোভকারীদের একটি বড় অংশ এখনও জাতীয় প্রেস ক্লাব এলাকায় ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান করছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানানোর কথা বললেও পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করে গত ৮ জুন গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, জনশৃঙ্খলা এবং প্রধান উপদেষ্টার নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্স (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) এর ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী ৯ জুন ২০২৫ খ্রি., সোমবার হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়, কাকরাইল মসজিদ মোড়, অফিসার্স ক্লাব মোড়, মিন্টু রোড) যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’
আন্দোলনরত শিক্ষক নিয়োগ প্রত্যাশীরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও নিয়োগ পাচ্ছেন না। নতুন গণবিজ্ঞপ্তিতে বয়স ও অন্যান্য সীমাবদ্ধতার কারণে অনেকেই বাদ পড়ছেন। এ কারণে তারা গণবিজ্ঞপ্তির শর্ত শিথিল ও দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্নের দাবি জানাচ্ছেন।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে বিকেল পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা সরে না গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে প্রেস ক্লাব এলাকায়।