দেশি-বিদেশি ফুল চাষে সাদিকুলের বাজিমাত
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আমের জন্য বিখ্যাত হলেও এবার আলোচনায় এসেছে ফুল চাষ। জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর ইউনিয়নের বংপুর মাঠে সাত বিঘা জমিতে গোলাপ, টিউলিপ, চন্দ্রমল্লিকাসহ নানা জাতের দেশি-বিদেশি ফুল চাষ করে বাজিমাত কৃষক সাদিকুল ইসলাম টুটুল।
২০১৬ সালে প্রচলিত ধান চাষের পরিবর্তে ব্যতিক্রম কোনো ফসল উৎপাদনের চিন্তা থেকে শুরু করেন বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ। শুরুতে স্থানীয়দের কাছ থেকে তেমন সাড়া না পেলেও ধীরে ধীরে লাভজনক হয়ে ওঠায় উৎসাহ পান তিনি। বর্তমানে বছরে প্রায় ১০ লাখ টাকারও বেশি আয় করেন টুটুল, যা প্রচলিত কৃষিকাজে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
টুটুল জানান, ২০১৬ সালে ধানের দাম ছিল মাত্র ৬০০ টাকা মণ। তখন ভাবলাম এমন কিছু করবো যা এ এলাকায় কেউ করে না। তাই ফুল চাষ শুরু করি। শুরুর দিকে মানুষ পাগল বলত, এখন তারাই আমার কাজের প্রশংসা করে।
টুটুল আরও বলেন, গোলাপ, টিউলিপ, চন্দ্রমল্লিকা, রজনিগন্ধা, গ্ল্যাডিওলাস, গাঁদা, জারবেরা ইত্যাদি ফুলের চাষ করে আমি ভালো লাভ পাচ্ছি। তবে এই সফলতার পেছনে রয়েছে সঠিক পরিকল্পনা, নিয়মিত পরিচর্যা, সারের সঠিক ব্যবহার ও বাজারজাতকরণে মনোযোগ।
ফুলের মাঠ দেখতে আসা স্থানীয় যুবক তুহিন আলী বলেন, ফুল চাষ করে এভাবে লাভবান হওয়া যায়, আগে জানতাম না। তবে এটা সত্যি যে, কৃষিকে এগিয়ে নিতে উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদন জরুরি।

গোমস্তাপুর উপজেলার কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার বলেন, আমি ফুলচাষি সাদিকুলের এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রজেক্ট পরিদর্শন করেছি। তাকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করতে ও বৈদেশিক ফুলের চাষ সম্প্রসারণে পলিনেট হাউস নির্মাণের জন্য গোমস্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করেছি। কৃষিকে সমৃদ্ধ করতে হলে ভিন্নধর্মী ও উদ্ভাবনী চাষের কোনো বিকল্প নেই।