সালমান-আনিসুল-শাজাহানসহ পাঁচ জনের রিমান্ড

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক ও শাজাহান খানসহ পাঁচজনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার (২৩ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম শুনানি শেষে এই আদেশ দেন। ঢাকার সিএমএম আদালতে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আনিসুল হক, শাজাহান খান, সালমান এফ রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এছাড়া দুই মামলায় মনিরুল ইমলাম মনুর পাঁচ দিন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পিবিআই। সোহাইলের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার এসআই বিমান তরফদার। শুনানি শেষে আদালত তাদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিটন উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার মামলায় ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে এক দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদে। দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরে পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় চট্টগ্রাম বন্দরের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহাইলের তিন দিন রিমান্ড দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সাজেদুর রহমান ওমর হত্যা মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ২১ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা ফুটওভার ব্রিজের নিচে ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন সাজেদুর রহমান ওমর। পরে আসামিদের আক্রমণে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ আগস্ট মারা যান তিনি। এ ঘটনায় ৩ জানুয়ারি যাত্রাবাড়ী থানায় সৈয়দ তানভীর আহমেদ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮১ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টার মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল মহাসমাবেশের ডাক দেয়। ভুক্তভোগী গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনও সমাবেশে অংশ নেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় আসামিদের ছোঁড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে সায়মন গুলিবিদ্ধ হন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন তিনি। এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল সায়মন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানা হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।
রিটন হত্যা মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হন রিটন উদ্দিন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই দিন সকাল ৮টার দিকে যাত্রাবাড়ী ফুটওভার ব্রিজের নিচে গুলিবিদ্ধ হন রাসেল। পরে তিনি মারা যান।
মোহাম্মদপুর থানার হত্যা মামলায় কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর পল্টন থানায় করা রমজান মিয়া জীবন হত্যা মামলায় সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী তাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।