৫ আগস্টের পরে বন্ধ হওয়া কারখানাগুলো প্রকৃতপক্ষে আগে থেকেই বন্ধ ছিল : শ্রম উপদেষ্টা

শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ৫ আগস্টের পর বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলো প্রকৃতপক্ষে আগে থেকেই বন্ধ ছিল। তিনি বলেন, সব গার্মেন্টস বন্ধ হলে তো ১৭ পার্সেন্ট এক্সপোর্ট হতো না। প্রচুর মালামাল রপ্তানির কারণে চিটাগাং পোর্ট কুলাতে পারছে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বুধবার (২৫ জুন) সাভারের বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিপিএটিসিতে ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড স্টাফ কলেজ মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের উদ্যোগে সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। সেমিনারে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২৪টি দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
শ্রম উপদেষ্টা এ সময় আরও বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর মালিক কারখানা চালু থাকা অবস্থায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিলেও সেই টাকা শ্রমিকদের দেয়নি, কাজও করেনি। এসব কারখানার মালিকদের যদি ব্যাংক হিসাব নেওয়া হয়, তবে দেখা যাবে প্রত্যেকেই ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি।
বন্ধ হয়ে যাওয়া বেক্সিমকোর অধিকাংশ শ্রমিক চিটাগাংসহ দেশের বিভিন্ন শিল্পকারখানায় যোগ দিয়েছে বলেও জানান উপদেষ্টা।