পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধে ভয়াবহ ভাঙন, নদীগর্ভে দোকান-ঘরবাড়ি

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার মাঝিরঘাট এলাকায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধে হঠাৎ করে ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে নদীপাড়ের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
গতকাল সোমবার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ করে পদ্মা সেতু থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভাটিতে মাঝিরঘাট এলাকায় এ ভাঙন শুরু হয়। মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ২০০ মিটার বাঁধ পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে ১০টি দোকান ও ৫টি বসতবাড়ি নদীগর্ভে চলে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও ব্যবসায়ীরা তড়িঘড়ি করে তাদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
স্থানীয় ও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু নির্মাণের সময় ২০১০-১১ সালে প্রায় ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে মাঝিরঘাট এলাকায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এর আগে, গত ৭ জুনও এই এলাকায় ২০০ মিটার বাঁধ ধসে পড়ে এবং গত বছর নভেম্বর মাসেও ১০০ মিটার বাঁধ ভেঙেছিল। তখন পাউবো ২ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে বাঁধটি মেরামত করেছিল।
ভাঙনকবলিত এলাকার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিকালে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে নদীর পাড়ে ছুটে গিয়ে দেখি, ঘরের সামনের বাঁধ পদ্মায় তলিয়ে গেছে। তাই ঘর ভেঙে সরিয়ে নিচ্ছি। পরিবার নিয়ে কোথায় যাব বুঝতে পারছি না। আমরা স্থায়ী বাঁধ চাই।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ তারেক হাসান জানান, হঠাৎ করেই মাঝিরঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা দ্রুত ভাঙনরোধে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করছি।