যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত : বার্ন ইনস্টিটিউটে ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন বলেছেন, আজ আমরা ক্রিটিক্যাল অবস্থায় থাকা দুই শিশুকে হারিয়েছি। সকালে আয়মান এবং দুপুরে মাকিন আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আয়মানের বাড়ি শরীয়তপুরে, মাকিনের বাড়ি গাজীপুরে। তাদের মরদেহ যথাযথভাবে দাফনের জন্য সংশ্লিষ্ট দুই জেলার সিভিল সার্জনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে ৪০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ভবনে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে আজ শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকেলে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট এবং হাসপাতালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন ডা. নাসির উদ্দীন।
অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, বর্তমানে ইনস্টিটিউটে ৪০ জন রোগী ভর্তি আছেন। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক (ক্রিটিক্যাল), ১০ জন সিভিয়ার কেস এবং ২৫ জন ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের রোগী। ইন্টারমিডিয়েট পর্যায়ের ১০ জনকে পোস্ট-অপারেটিভ ডকে রাখা হয়েছে। বাকিদের কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
ডা. নাসির উদ্দীন আরও বলেন, ‘আগামীকাল চার থেকে পাঁচজন রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আশা করছি, প্রতিদিনই আমরা কিছুসংখ্যক রোগীকে সুস্থ অবস্থায় বাড়ি পাঠাতে পারব।’
বার্ন ইনস্টিটিউটের এই ভারপ্রাপ্ত পরিচালক বলেন, এর মধ্যে আরেকটা ভালো খবর হচ্ছে, ভেন্টিলেশনে থাকা রোগীদের মধ্যে দুজন বর্তমানে সজাগ আছেন এবং নিজেরাই নিঃশ্বাস নিতে পারছেন।
চিকিৎসাসেবা ও তত্ত্বাবধান নিয়ে অধ্যাপক নাসির উদ্দীন বলেন, স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক সমন্বয় বজায় রাখা হচ্ছে।
ডা. নাসির উদ্দীন সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আশা করছি সামনে আরও রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবেন। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যেন আমরা এই দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করতে পারি।’