আমন বীজতলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় বাউফলের চাষিরা

পটুয়াখালীর বাউফলে টানা ভারি বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের পানিতে আমনের বীজতলা দুইবার নষ্ট হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চাষিরা নতুন করে বীজতলা প্রস্তুত শুরু করলেও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে আবারও বৃষ্টিপাত ও পানির উচ্চতা বাড়ায় সেই বীজতলাও ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে করে চাষিরা পড়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে বাউফলে ৩৪ হাজার ৭১২ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১ হাজার ২০২ হেক্টরে বীজতলা তৈরি করেছিলেন চাষিরা। কিন্তু টানা ১৫ দিনের বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে এর অর্ধেকেরও বেশি ৫৬১ হেক্টরের মতো বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে যায়। জলাবদ্ধতার কারণে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বীজ পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
চর কালাইয়া গ্রামের চাষি ওলিউল্লাহ বলেন, ‘দুইবার বীজ লাগিয়েছি, দুইবারই পানিতে পইড়া নষ্ট হইছে। আবার নতুন খলা করতেছিলাম, এখন আবার বৃষ্টি শুরু হইছে। ক্ষেত গেছে ডুবে।’
কেশবপুর গ্রামের কৃষক মো. সোহরাব গাজী বলেন, ‘১০ একর জমির জন্য বীজ করছিলাম, সব পচে গেছে। এখন মাথায় হাত। নতুন করে বীজতলা করতে চাইলেও সুযোগ নাই, সব জায়গা পানিতে তলায়া গেছে।’
বাউফল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, ভারি বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চলের বীজতলা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছি। ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সহায়তায় সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মিলন আরও বলেন, চাষিদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যেন উঁচু জমিতে বীজতলা করেন। যেসব বীজতলায় জলাবদ্ধতা রয়েছে, সেখান থেকে দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা করতেও বলা হয়েছে।