জিয়াউর রহমান সাড়ে ৩ বছরে দেশে আমূল পরিবর্তন করেছিলেন : ডা. ফরহাদ

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সম্পর্কে দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের (জেডআরএফ) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান স্ত্রী-পুত্রের মায়া ত্যাগ করে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন এবং যুদ্ধ করেন। সাড়ে তিন বছর দেশ শাসন করেছিলেন তিনি। এই সময়ে তিনি দেশের আমূল পরিবর্তন করেছিলেন। তিনি ছিলের সৎ এবং কর্মীবান্ধব ও পরিশ্রমী। এমন কোনো অঙ্গন নেই, যেখানে জিয়াউর রহমানের অবদান নেই। অর্থাৎ, সব খাতে তার অবদান রয়েছ।’
আজ সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে জেডআরএফের উদ্যোগে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ডা. ফরহাদ। রাজধানীর রায়েরবাজার উচ্চবিদ্যালয়ে ২৩ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, ‘জেডআরএফ সব দুর্যোগে দেশের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। যেখানে যখনই ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও বন্যা দেখা দিয়েছে, সেখানেই আমরা ছুটে গেছি। মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ২০০৫ সাল থেকেই চালু করেছি। অনেকেই এসএসসি কিংবা এইচএসসি পাস করে, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত যেতে পারে না। পরে আমরা একটি শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প নিয়েছি। এই প্রকল্পের আওতায় আজকে অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছে। অনেকেই ডাক্তারও হয়েছে। এসব দেখে খুবই ভালো লাগে। আমরা খাবার পানির ব্যবস্থা করেছি। কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে কমল নামে ধান বীজ বিতরণ করেছি। প্রান্তিক মানুষকে স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন জিনিস দিয়েছি।’
সভাপতির বক্তব্যে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম বলেন, ‘জিয়াউর রহমান নিজের জন্য কিছুই করেননি। তিনি সবসময় জনগণকে নিয়ে ভেবেছেন ও কাজ করেছিলেন। সারাক্ষণ দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন। অতি সাধারণ জীবনযাপন করেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে দেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন। তিনি সারা দেশে মানুষের মাঝে আইডল। তার মৃত্যুর পর একটি ভাঙা ব্রিফকেস ও একটা স্যান্ডো গেঞ্জি পাওয়া গেছিল। আসলে তিনি ছিলেন খুবই সাধারণ।’
ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আরও বলেন, ‘জিয়াউর রহমান শুধু বিএনপির না। তিনি সমগ্র বাংলাদেশের। আজকের জিডিপি ও প্রবৃদ্ধির পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান জিয়াউর রহমানের। তিনি আমৃত্যু দেশ নিয়ে ভেবেছিলেন। দলমতের ঊর্ধ্বে তার আদর্শ আমাদের সবার হৃদয়ে ধারণ করা উচিত। তার দেখানো পথে অগ্রসর হলে দেশটা আরও এগিয়ে যাবে।’
জেডআরএফের মনিটর ডা. পারভেজ রেজা কাকনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন অধ্যাপক লুৎফর রহমান, শামীমুর রহমান শামীম, প্রকৌশলী মাহবুব আলম, কৃষিবিদ শফিউল আলম দিদার, কলেজের গভর্নিং বডির চেয়াম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, শাপলা একাডেমির হাসিনা আক্তার ও ব্যরিস্টার মেহনাজ মান্নানসহ অন্যান্যরা।