জাতীয় নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই চায় জামায়াত

জাতীয় নির্বাচন কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে চায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেই হতে হবে। প্রায় সবাই একমত, একমাত্র বিএনপি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
আব্দুল্লাহ তাহের আরও বলেন, প্রস্তাবিত কাঠামো অনুযায়ী পাঁচ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি গঠিত হবে—প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দলের) এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি। এরা ১২ জন সম্ভাব্য প্রার্থীর মধ্য থেকে কেয়ারটেকার সরকারের প্রধান নির্বাচন করবেন। একমত না হলে র্যাংক চয়েস ভোটিংয়ের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হবে। ভোটার হবেন মোট সাতজন—উল্লিখিত পাঁচজনের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের একজন করে বিচারপতি। বিচারপতিরা যুক্ত হওয়ায় হর্স ট্রেডিংয়ের আশঙ্কা কমবে।
জামায়াতের এই নেতা বলেন, বিএনপি প্রস্তাব করেছে ঐকমত্য না হলে বিষয়টি সংসদে পাঠানো হোক। তবে জামায়াতসহ অধিকাংশ দল মনে করে, তা হলে সিদ্ধান্ত আর হবে না।
জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, সংসদে পাঁচ-ছয়টা দল আছে, অথচ এই বডিতে ৩০টির বেশি দলের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া জরুরি।
আব্দুল্লাহ তাহের বলেন, জামায়াত নিজস্ব একটি সনদের খসড়া তৈরি করছে এবং তা কমিশনে জমা দেবে।
জুলাই সনদের খসড়া নিয়ে তিনি বলেন, এটি অসম্পূর্ণ এবং কিছু অংশ বিপজ্জনক। যদি এটা শুধু নমুনা হয় তাহলে মন্তব্যের দরকার নেই। কিন্তু যদি এটিই চূড়ান্ত হয় তাহলে আমরা তা মেনে নিতে পারি না।
আইনি কাঠামো গঠনের ক্ষেত্রে জামায়াত দুটি বিকল্প প্রস্তাব করেছে। তা হলো- অধ্যাদেশের মাধ্যমে কাঠামো তৈরি করে পরে সংসদের অনুমোদন নেওয়া এবং গণভোটের মাধ্যমে জনগণের চূড়ান্ত অনুমোদন নেওয়া।
আমরা চাই যেকোনো একটি পদ্ধতিতে কাঠামোটিকে আইনগত বৈধতা দেওয়া হোক। সংলাপ কার্যকর ও বাস্তবভিত্তিক না হলে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও সতর্ক করেন জামায়াতের এই নেতা।