ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে অনেক দূর এগিয়েছে সরকার : ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের ওপর দায়িত্ব ছিল বিগত সরকারের রেখে যাওয়া ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং নৈরাজ্য দূর করে জনজীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনা। আমি স্বস্তি ও আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই, মাত্র ১০ মাসেরও কম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকার সেই লক্ষ্য পূরণে অনেক দূর এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে।’
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও বাংলাদেশ বেতারে আজ সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যম ছাড়াও অন্যান্য বেসরকারি গণমাধ্যমে একযোগে বাজেট বক্তৃতা প্রচারিত হয়।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের অকুতভয় শহীদ, যারা দ্বিধাহীন ত্যাগের মহিমায় মৃত্যুকে ছাড়িয়ে আরোহন করছেন অন্যন্য উচ্চতায়। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে আমি তাদের সবার আত্মার মাগহফেরাত কামনা করছি। ২০২৪ এ গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের এক ক্লান্তি লগ্নে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনার দ্বায়িত্ব গ্রহণ করে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর আমরা যে আশায় বুক বেঁধে ছিলাম, তা শিগগিরই পূরণে সক্ষম হব, ইনশাল্লাহ।’
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, ভেঙে পরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, শ্রমিক অসন্তোষ প্রশমিত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা ছিল সরকারের অগ্রাধিকারের বিষয়। বিগত সরকারের সময় লাগমহীন দুর্নীতির ফলে চরম অব্যবস্থাপনার ব্যাকিং খাতের শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ আমাদের মোকাবিলা করতে হয়। শুরু থেকেই আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে চেষ্টা করেছি, এসব সমস্যা সমাধানপূর্বক দেশকে স্থিতিশীলতার ফিরিয়ে আনতে, প্রবাসী আয়ের আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি, রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি, কৃষি ও শিল্প খাতে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে। সঠিক মুদ্রা ও রাজস্ব নীতির সমন্বিত প্রয়োগে ইতোমধ্যে আামরা কাঙ্ক্ষিত সফলতার দিকে অনেক দূর এগিয়েছি।’
উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার যখন দেশ পরিচালনার দ্বাযিত্বভার গ্রহণ করে, আমাদের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষের মধ্য স্বস্তি আনা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মূদ্রনীতি অবলম্বন করেছি। অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দেওয়ায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় হ্রাস পেয়েছে। এতে ইতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে।’