ঢাবিতে হলে রাজনীতির বিরুদ্ধে মধ্যরাতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হল ও শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে দিতে বেরিয়ে আসে। রাত ১টার দিকে নারী শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হয়।
জুলাই আন্দোলনের সময় ৯ দফা দাবির একটি দাবি ছিল-অ্যাকাডেমিক ও হল ইউনিটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হোক। কিন্তু ছাত্রদল শুক্রবার সকালে ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করে, ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়।
মহসিন হলের ছাত্র নাজমুল হাসান লানজু বলেন, আজ জুলাই আবার ঢাবিতে ফিরে এসেছে। জুলাই মাসের প্রতিশ্রুতি হলো হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখা। কিন্তু এখন হলগুলোতে গোপন এবং প্রকাশ্য উভয় ধরনের রাজনীতি চলছে। আমরা বিলম্ব না করে হলগুলোকে ছাত্র রাজনীতিমুক্ত দেখতে চাই। যারা ছাত্র রাজনীতিকে হলগুলোতে ফিরিয়ে আনতে চান তাদের উদ্দেশে আমরা বলতে চাই, যদি আপনারা ছাত্রলীগের পরিণতির মুখোমুখি হতে না চান তাহলে হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবেন না।
রোকেয়া হলের আরেক ছাত্রী বলেন, যারা আমাদের হলে উপহার পাঠিয়েছিলেন, আমরা তাদের বয়কট করেছি। আমরা বিশ্বাস করি অন্যান্য নারী হলগুলোও এই ধরনের পদক্ষেপ নেবে।
রাজু ভাস্কর্যে সমাবেশ শেষ করার পর, বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে এবং পাঁচটি দাবি পেশ করে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, কেনাে কমিটি দেওয়া হলো উপাচার্যকে তার উত্তর দিতে হবে এবং প্রভোস্টদের ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ছাত্রদল, শিবির ও বামপন্থীসহ সকল বিদ্যমান হল কমিটি ভেঙে দিতে হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হল এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সকল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে রাজনীতির জন্য একটি সম্পূর্ণ কাঠামো তৈরি করতে হবে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে সকল হল কমিটি ভেঙে না দিলে দুর্বার আন্দোলন শুরু করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় বিক্ষোভকারীরা।