ভালো ঘুমের সঙ্গে হরমোনের সম্পর্ক কী?

ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঠিকঠাক ঘুম হওয়া মানুষের শরীরের সুস্থতার জন্য অতীব প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে দিনটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের একাংশ দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিন্তু ভালো ঘুমের নেপথ্যে রয়েছে মেলোটোনিন হরমোনের অবদান। মেলাটোনিনে পরিপূর্ণ পাঁচটি খাবার দৈনিক ডায়েটে রাখলে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
ঘুম ও মেলাটোনিন
মস্তিষ্কে পিনিয়াল গ্রন্থি মেলাটোনিন নামক হরমোনটি তৈরি করে। মানুষের ঘুম-জাগরণ চক্রের নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে এই হরমোনটির গুরুত্ব অপরিসীম। সাধারণত সূর্যাস্তের পর দেহে মেলাটোনিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার ফলে শরীর ঘুমের সময় বুঝতে পারে। অন্যদিকে, ভোর পর্যন্ত দেহে এই হরমোনের মাত্রা পুনরায় কমতে শুরু করে। যার ফলে আমাদের ঘুম ভাঙে।
মেলাটোনিন উৎপাদক খাবার
দুধ: দুধের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ট্রিপ্টোফ্যান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা মস্তিষ্কে মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। তাই অনেক সময়েই ঘুমের আগে চিকিৎসকরা গরম দুধ সেবনের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
মাছ: তেলযুক্ত মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬। এই ভিটামিনটি দেহে মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে। প্রতিদিনের ডায়েটে মাছ খেতে পারলে, ঘুম ভালো হয়।
বাদাম: কাঠবাদাম, আখরোটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন ও ম্যাগনেশিয়াম থাকে, যা ভালো ঘুমের জন্য উপকারী। ঘুমের আগে অল্প পরিমাণে বাদাম খেলে তা ক্লান্তি দূর করে ঘুমাতে সাহায্য করে।
কলা: কলার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে, যা পরোক্ষে দেহে মেলাটোনিন উৎপাদনে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের ডায়েটে কলা থাকলে ঘুমও ভালো হবে।
ডিম: ট্রিপ্টোফ্যানের উৎস ডিম। তাই রাতের খাবারে ডিম রাখলে ঘুমের ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যেতে পারে।