জামালপুরের ২০ গ্রামে ঈদুল আজহা উদযাপন

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ শুক্রবার (৬ জুন) জামালপুর জেলার ২০টি গ্রামের দুই হাজারেরও বেশি মানুষ পবিত্র ঈদুল আজহা পালন করছেন। ঈদ উদযাপনের পাশাপাশি পশু কোরবানিও করছেন তারা।
জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের রামভদ্রা, রায়েরপাড়া, পশ্চিম নোয়ারপাড়া, সাপধরী ইউনিয়নের পশ্চিম মন্ডলপাড়া, উত্তর সাপধরী, দক্ষিণ সাপধরী ও সরিষাবাড়ী উপজেলার বলারদিয়া, বাউসী, সাতপোয়া, পঞ্চপীর, সাঞ্চারপাড়, পাখাডুবি, বনগ্রাম, বালিয়া, হোসনাবাদ, পাটাবুগা, পুঠিয়ারপাড়, বগারপাড়, কামারপাড়া ও কুমারপুর এবং মাদারগঞ্জের লোটাবর কাজিয়াবাড়ী—এই ২০টি গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে ধর্মীয় উৎসব পালন করা হয়।
এই গ্রামের মুসলমানরা বিশ্বাস করেন, পবিত্র হজ, আরাফার দিন ও ঈদুল আজহার মধ্যে যে সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে, তা যথাযথভাবে মান্য করতে হলে সৌদির তারিখ অনুসরণ করাই উত্তম। তাই সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তারা জিলহজ মাসের গণনা শুরু করেন এবং ঈদুল আজহার দিন নির্ধারণ করেন।
রামভদ্রা গ্রামের গোলাম রব্বানী বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে সৌদির সঙ্গে মিল রেখে তারাবি, রোজা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে আসছি। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। আজ আমরা ১০ জিলহজ উপলক্ষে ঈদগাহে জুমার নামাজও আদায় করব, ইনশাআল্লাহ।’
গঙ্গাপাড়া এলাকার বাসিন্দা খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘চাঁদ একটাই, তাই আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীর যেখানেই প্রথম দেখা যাক না কেন, তা মেনে চলা উচিত। সৌদিতে আরাফার দিন নির্ধারিত হলে, আমাদের ঈদও সে হিসাবেই হওয়া উচিত।’
রায়েরপাড়া ঈদগাহের ইমাম মাওলানা ইয়াকুব আলী বলেন, ‘আমরা সৌদি আরবের চাঁদ অনুসরণ করে হজের দিন ও ঈদের দিন নির্ধারণ করি। এতে ইসলামের মূল উদ্দেশ্য এবং বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য রক্ষা হয় বলে আমরা মনে করি।’
উল্লেখ্য, এই ২০ গ্রামের বাইরে জামালপুর জেলার অধিকাংশ মানুষ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। ফলে এবারও জামালপুরে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে দুই দিনে।