ডিএসই : তিন খাতে লেনদেন ৩৭ শতাংশ, সেরা রসায়ন

গেল সপ্তাহে (১৩ থেকে ১৭ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ার। এতে খাতটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করেছে। পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক ও খাদ্য আনুষঙ্গিক খাত সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।
ডিএসইর ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে এক হাজার ৫৯৬ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৩৯৯ কোটি চার লাখ টাকা। পুঁজিবাজারে মোট ২১টি খাত রয়েছে। এর মধ্যে ৩৭ দশমিক ৩৬ শতাংশ লেনদেন হয়েছে এই তিন খাতে। আর ৬২ দশমিক ৬৪ শতাংশ লেনদেন হয়েছে বাকি ১৮ খাতে। শীর্ষে অবস্থানে থাকা ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩৪ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ২৫০ কোটি ছয় লাখ ৮০ হাজার টাকা। দৈনিক গড় লেনদেন হয়েছে ৬২ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা ডিএসইর মোট লেনদনের ১৫ দশমিক ৬৮ শতাংশ। লেনদেনে খাতটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে।
লেনদেনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের ৩৬ প্রতিষ্ঠানে লেনদেন হয়েছে ১৭৪ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৯২ শতাংশ। খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৬১ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
পরের অবস্থানে প্রকৌশল খাতে লেনদেন হয়েছে ১৪১ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার টাকা শেয়ার, যা মোট লেনদেনের আট দশমিক ৮৫ শতাংশ। বিবিধ খাতে লেনদেন হয়েছে ১২৪ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ৭৯ শতাংশ। জ্বালানি ও শক্তি খাতে লেনদেন হয়েছে ১১৪ কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের সাত দশমিক ১৯ শতাংশ। বস্ত্র খাতে লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি এক লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ৭১ শতাংশ। মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে ৯৭ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের ছয় দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। সাধারন বিমা খাতে খাতে লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের চার দশমিক ৯২ শতাংশ। জীবন বিমা খাতে লেনদেন হয়েছে ৫২ কোটি ৭০ লাখ ৮০ হাজার টাকার শেয়ার, যা মোট লেনদেনের তিন দশমিক ৩০ শতাংশ।
এ ছাড়া মোট লেনদেনের তিন দশমিক ১৩ শতাংশ হয়েছে সিমেন্ট খাতে, সিরামিক খাতে দুই দশমিক ৭৮ শতাংশ, পেপার ও প্রিন্টিং খাতে দুই দশমিক ৬৮ শতাংশ, আইটি খাতে দুই দশমিক ২৩ শতাংশ, নন ব্যাংক আর্থিক খাতে এক দশমিক ৮১ শতাংশ, টেলিকম খাতে এক দশমিক ২৯ শতাংশ, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে এক দশমিক ২০ শতাংশ, সেবা ও আবাসন খাতে এক দশমিক ১১ শতাংশ, চামড়া খাতে এক দশমিক শূন্য সাত শতাংশ, পাট খাতে দশমিক ৪৭ শতাংশ এবং করপোরেট বন্ড খাতে দশমিক শূন্য দুই শতাংশ লেনদেন হয়েছে।