হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল বাংলাদেশ

পারল না বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে আগের দুই ম্যাচের ব্যর্থতা ঢাকতে পারলেও বল হাতে নেই উন্নতি। ২০০ ছুঁই ছুঁই রান করেও পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে রোববার (১ জুন) পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৭ উইকেট৷ তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রতিটিতে হেরে হয়েছে হোয়াইটওয়াশ।
আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করেছে বাংলাদেশ। জবাবে ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৭ রান তোলে পাকিস্তান।
প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০০-র বেশি সংগ্রহ গড়েছিল পাকিস্তান। বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৭ রান তাই চাপে ফেলতে পারেনি স্বাগতিকদের। প্রথম ওভারে ওপেনার সাহিবজাদা ফারহানকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর আর আনন্দের উপলক্ষ পায়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় উইকেটে পাকিস্তান গড়ে ৯২ রানের জুটি।
২৯ বলে ৪৫ রান করে তানজিম সাকিবের শিকার হন সাঈম আইয়ুব। ওয়ানডাউনে নামা মোহাম্মদ হারিস একাই ধসিয়ে দেন সফরকারীদের। ৪৬ বলে ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন হারিস৷ তার সেঞ্চুরিতে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ, পায় টানা তৃতীয় হারের লজ্জা।
বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ২টি ও সাকিন নেন ১ উইকেট।
ব্যাটিংয়ে এদিন দুরন্ত শুরু এনে দিয়েছে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। শুরু থেকেই পাকিস্তানি বোলারদের ওপর চড়াও হয়েছেন তামিম-ইমন। বিনা উইকেটে তামিম-ইমন পার করেন শতরানের ঘর৷ ১০.৪ ওভারে ১১০ রানের জুটি গড়েন দুজন।
৩২ বলে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রান করে বিদায় নেন তানজিদ তামিম। পারভেজ হোসেন ইমন খেলেন ৩৪ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস। অধিনায়ক লিটন পরের পথটুকু টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ভালো করতে পারেননি। ১৮ বলে।করেন ২২। ১৮ বলে ২৫ করে আউট হন তাওহিদ হৃদয়।
শেষ দিকে জাকের আলী অনিকের ৯ বলে ১৫ রানের ছোট কিন্তু ফলপ্রসূ ইনিংসে বাংলাদেশ পায় চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ।
পাকিস্তানের পক্ষে হাসান আলী ও আব্বাস আফ্রিদি নেন ২টি করে উইকেট।