নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় ধামাইল গানের উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২২ মার্চ) দিনব্যাপী উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের হরিমন্দির প্রাঙ্গণে এই ধামাইল গানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

হাওর বাংলার মানুষের প্রাচীন ঐতিহ্য এই ধামাইল গান আজ বিলুপ্তির পথে। নারীদের অংশগ্রহণে এই বিনোদন সঙ্গীত। হারিয়ে যাওয়া ধামাইল গানকে ফিরিয়ে আনতে এক অভিনব পন্থা গ্রহণ করেছে ‘শ্যাম কালিয়া বাঁশি’ নামে একটি সংগঠন।

হাওর এলাকার নারীদের প্রাচীন ঐতিহ্য ধামাইল গানকে ফিরিয়ে আনতে ও নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরতে এই ধামাইল উৎসবের আয়োজন করে প্রতিষ্ঠানটি।  প্রতিযোগিতায় ১৬টি দল তালিকাভুক্ত হয়ে গানে অংশ নেয়। ধামাইল গানের আয়োজনকে ঘিরে এলাকাটি ছিল ব্যাপক উৎসব মুখর। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে নানা বয়সের হাজার হাজার মানুষ উৎসব উপভোগ করার জন্য সকাল থেকেই মন্দির প্রাঙ্গণে ভিড় করে।

উৎসবের আয়োজক প্রতিষ্ঠান শ্যাম কালিয়া বাঁশীর কার্যকরী কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রণেন সরকার জানান, হারানো ঐতিহ্যের মধ্যে ধামাইল গান ও আলপনা আঁকা—এ দুটি বিষয় নিয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এ ঐতিহ্যগুলোকে মানুষের মাঝে তুলে ধরতে প্রতি বছর তাঁরা এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে যাচ্ছেন।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক আশীষ সরকার বাবলু জানান, ধামাইল উৎসব আয়োজনে এত মানুষের অংশগ্রহণ তাদের আগামী দিনে এ ধরনের আয়োজন প্রতিনিয়ত করার উৎসাহ দেবে।

আশীষ সরকার বাবলু আরও জানান, প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা পেলে নেত্রকোনা, সুনামগঞ্জ ও কিশোরগঞ্জ জেলার বিভিন্ন দল নিয়ে তারা এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে পারবেন।

উৎসবে উপস্থিত ছিলেন শ্যাম কালিয়া বাঁশীর অন্যতম উপদেষ্টা কৃষিবিদ রঞ্জিত সরকার, উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান কাঞ্চন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রহমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অমল সরকার, এম এ মোমেন প্রমুখ।