বঙ্গোপসাগরে স্যাটেলাইট বাঁধা একটি কচ্ছপ নিখোঁজ

স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার সিস্টেমসহ বঙ্গোপসাগরে হারিয়ে গেছে একটি বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ। তবে অন্যটি সাগর ও সুন্দরবন ঘুরে নিয়মিত ছবি পাঠাচ্ছে।
বাটাগুর বাসকার স্বভাব, খাদ্যাভ্যাস, বিচরণক্ষেত্র ও জীবনযাপন সম্পর্কে জানতে এ কচ্ছপ দুটির পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার সিস্টেম স্থাপন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ছেড়ে দেওয়া হয়। দুইদিন ধরে এদের একটি কচ্ছপ কোনো ছবি, তথ্য পাঠাচ্ছে না। সুন্দরবনের করমজল কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্রের ম্যানেজার মো. আব্দুর রব এসব তথ্য জানান।
বাংলাদেশের বন বিভাগ, আমেরিকার টারটেল সারভাইভাল অ্যালায়েন্স, অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা জু ও প্রকৃতি জীবন ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে সুন্দরবনের করমজলে কচ্ছপ প্রজনন কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে মূলত মহাবিপন্ন বাটাগুর বাসকা কচ্ছপ নিয়ে গবেষণা চলছে। এরই অংশ হিসেবে ওই দুই কচ্ছপের পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিটার স্থাপন করা হয়।
হারিয়ে যাওয়া কচ্ছপটি সম্পর্কে আবদুর রব বলেন, ওই কচ্ছপটি হয়তো এমন জায়গায় আছে, যেখানে নেটওয়ার্ক কাজ করছে না। তবে একে ফেরত পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) সাইদুল ইসলাম জানান, বিশ্বজুড়ে বাটাগুর বাসকা কচ্ছপের চাহিদা আছে। খাদ্য হিসেবেও এটি সমাদৃত। তবে খাদ্যাভাব, মাছ ধরার জালে আটকে পড়া, পানিদূষণ, চলাচলের প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি কারণে এ প্রজাতির কচ্ছপ আজ বিলুপ্তপ্রায়। এ প্রজাতির প্রাপ্তবয়স্ক কচ্ছপের ওজন ২৫-৩০ কেজি পর্যন্ত হয়। এ ছাড়া এ কচ্ছপ ৭০-৮০ বছর পর্যন্ত বাঁচে।