বিসিবির ২৫০ কোটি টাকা স্থানান্তর : অনুসন্ধানে যা পেল দুদক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এফডিআরের বিপুল অঙ্কের অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তুলে অন্য ব্যাংকে স্থানান্তর ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
আজ শনিবার (১৭ মে) দুপুরে আর্থিক অনিয়মসহ আরও দুই অভিযোগে দুদকের চার সদস্যের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এই অভিযান চালায়।
অভিযান শেষে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে অর্থ ট্রান্সফার ইস্যুতে দুদকের সহকারী পরিচালক রাজু আহমেদ বলেন, বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যে নিয়ম থাকে তাতে কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরেই এই অর্থ ট্র্যান্সফারগুলো হয়েছে। বিসিবির কর্মকর্তাদের ব্যাখা অনুযায়ী, রিস্ক জোন ব্যাংকগুলো ক্যাটাগরি করে ভাগ করা হয়। সেখানে তারা যে ব্যাংকগুলোকে অধিক নিরাপদ মনে করেছে সেখানেই অর্থ ট্রান্সফার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যে আমরা তাদের এইসব রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছি। এইসব বিষয়ে আমরা বিসিবির প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমদের সঙ্গে কথা বলব। তারপর আমরা আমাদের রিপোর্ট দাখিল করব।
এমন নিয়ম রয়েছে কিনা প্রশ্নে দুদকের এই সহকারী পরিচালক বলেন, বিসিবির গঠনতন্ত্রে এই বিষয় উল্লেখ রয়েছে, হিসেবে পরিচালনার জন্য যারা অথরাইজড তারা এটা করতে পারে।
অর্থ ট্রান্সফারে বিসিবির কারা ছিলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাদের এই দায়িত্বটা রয়েছে কিনা, সে বিষয়েগুলো আমাদের যাচাই করতে হবে।
তিনি বলেন, তারা দাবি করেছেন (বিসিবি কর্তারা), সঠিক ব্যাংকিং চ্যানেলে তারা নিরাপদ জায়গায় অর্থ রেখেছেন। সেটা আদতে সঠিক হয়েছে কিনা বা কতটুক যুক্তিযুক্ত, আমরা সেটাই খতিয়ে দেখছি।
উল্লেখ্য, বিসিবি অর্থের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকার ব্যাংকগুলো থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা ‘গ্রিন’ ও ‘ইয়েলো’ তালিকার ব্যাংকগুলোতে পুনর্বিনিয়োগ করে। বাকি ১২ কোটি বিসিবির পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য নির্ধারিত ব্যাংকে স্থানান্তর করা হয়।