ঝিনাইদহে দুই উপজেলার সংঘর্ষে আহত ২০, সেনা মোতায়েন

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার চরপাড়া বাজারে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরিণাকুন্ডু ও শৈলকুপা উপজেলার ১০টি গ্রামের ভয়াবহ সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার (১৮ মে) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা চার ঘণ্টাব্যাপী এই সংঘর্ষে বাজারের অন্তত ২০টি দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে সেনাবাহিনী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার (১৭ মে) চরপাড়া বাজারে এক মাছ বিক্রেতা ও ক্রেতার মধ্যে কথাকাটাকাটির জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল ১১টার দিকে চরপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই উপজেলার চরপাড়া ও মালমারি গ্রামসহ আশপাশের অন্তত ১০টি গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
একপর্যায়ে শৈলকুপার মীর্জাপুর ইউনিয়নের শত শত মানুষ কুমার নদ পার হয়ে হরিণাকুন্ডুর চরপাড়া বাজারে ঢুকে পড়ে। এ সময় তারা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে দোকানপাটে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উভয় পক্ষ রামদা, লাঠি, ঢাল-ভেলা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং একে অপরকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষ চলাকালে দুই থানার পুলিশ সদস্যরা হিমশিম খেলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

হরিণাকুন্ডু রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন বলেন, শৈলকুপা উপজেলার শত শত মানুষ পরিকল্পিতভাবে বাজারে হামলা চালিয়েছে। অন্তত ২০টি দোকানে ভাঙচুর হয়েছে এবং প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই উপজেলার শত শত মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে এবং বাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তরিকুজ্জামান বলেন, চার ঘণ্টার টানা সংঘর্ষে বাজারে বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। চরম অবনতি ঠেকাতে সেনাবাহিনী ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।