সিলেট সেনানিবাসে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস উদযাপন

শান্তির পায়রা আর নীল-সাদা রঙের বেলুন উড়ানো, শোভাযাত্রা ও আলোচনার মধ্য দিয়ে সিলেট সেনানিবাসে উদযাপন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে সিলেট এরিয়া ও ১৭ পদাতিক ডিভিশনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দিবসটি উদযাপন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে ভোর থেকেই সিলেট সেনানিবাসে জড়ো হন সাবেক ও বর্তমান বিভিন্ন পর্যায়ের সৈনিক, বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা। শুরুতে অতিথিদের নিয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সিলেট এরিয়া কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামরুজ্জামান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিলেট এরিয়া কমান্ডার বলেন, বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বগাঁথা বিশ্ববাসী জানে। বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে আজ আমরা বিশ্বে শান্তিরক্ষায় অন্যতম বৃহৎ অংশীদার একটি দেশ।
সিলেট এরিয়া কমান্ডার জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ১৯৮৮ সাল থেকে, বিমান ও নৌবাহিনী ১৯৯৩ সাল থেকে এবং পুলিশ বাহিনী ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করে আসছে। এখন পর্যন্ত দুই লাখেরও বেশি সদস্য শান্তিরক্ষী হিসেবে বিভিন্ন মিশনে কাজ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন তিন হাজার ৬৪৫ নারী সদস্য, যারা বিশ্বশান্তি রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।
সিলেট এরিয়া কমান্ডার বলেন, বর্তমানে ১০টি দেশে পাঁচ হাজার ৮১৮ শান্তিরক্ষী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে নিয়োজিত রয়েছেন। শুরু থেকে এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দেশের সর্বমোট ১৬৮ শান্তিরক্ষী শহীদ এবং ২৭২ জন পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের সেনা, নৌ, বিমান ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা সদা প্রস্তুত।
পরে একটি বর্ণাঢ্য শোভযাত্রা সেনানিবাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থীসহ বেসামরিক প্রশাসনের অনেকেই অংশ নেন।
আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন বাহিনী ও দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।