জিয়াউর রহমানের জীবন ছিল খুবই সাধারণ : রুমিন ফারহানা

বিএনপির সহআন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন ছিল খুবই সাধারণ। তার পরিবারের জন্য তিনি কিছুই রেখে যাননি।
আজ শনিবার (৩১ মে) ময়মনসিংহে শহীদ জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুমিন ফারহানা এসব কথা বলেন। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আসলাম মিয়া বাবুলের সভাপতিত্বে উত্তর খয়রাকুড়ি অডিটোরিয়ামে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন ছিল খুবই সাধারণ। তার পরিবারের জন্য তিনি কিছুই রেখে যাননি। তার মৃত্যুর পর মুক্তিযুদ্ধের অবদান, দেশপ্রেম ও সাবেক সেনাপ্রধান হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার তার রেখে যাওয়া পরিবারের জন্য বেগম জিয়াকে মইনুল রোডের বাড়িটি বসবাসের জন্য দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রতিহিংসার বশে আওয়ামী লীগ সরকার তাকে সেই বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিল। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, কয়েক বছর পর তারা সপরিবারে দেশ থেকে পালিয়ে গেছেন। আর কোনোদিন তারা দেশে ফিরে এসে আ.লীগের রাজনীতি করতে পারবেন বলে মনে হয় না।’
রুমিন ফারহানা বলেন, জিয়াউর রহমান এতটাই সততার জীবন যাপন করতেন যে তার পরিহিত পোশাক ছোট করে তার দুই ছেলে পরিধান করতেন। ডাল-ভাত-ভাজি ছিল তার আহারের তালিকায়। তিনি তাই সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাদের দুঃখ-দুর্দশা দেখে মানুষের কল্যাণময় ইতিবাচক রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করতে পেরেছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ও স্থানীয় নেতারা।
এর আগে, হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির অফিসে অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে বস্ত্র সামগ্রী বিতরণ এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কর্মময় জীবনের আলোকচিত্র প্রদর্শনী অবলোকন করেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবু হাসানাত বদরুল কবিরের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন হালুয়াঘাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক হানিফ মো. সাকের উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমজাদ আলী, কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দেবাতুষ সরকারসহ আরও অনেকে।