প্রশংসায় রাজ-ফারিণদের ‘ইনসাফ’, শো বাড়ানোর দাবি পরিচালকের

ঈদুল আজহায় মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা সঞ্জয় সমদ্দার পরিচালিত দ্বিতীয় সিনেমা ‘ইনসাফ’। দেশের ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি মুক্তির পর দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। তবে স্টার সিনেপ্লেক্সেসহ অন্যান্য মাল্টিপ্লেক্সে সিনেমাটির শো প্রপার টাইম ও শো কম থাকায় দর্শকরা সিনেমাটি দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। তার ভাষ্য, ঈদের দিন সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই দর্শকের ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছি। আমরা সিনেমা হলে গিয়েছি, দর্শকের সঙ্গে কথা বলেছি। দর্শক সিনেমাটিকে আপন করে নিয়েছে এবং তারা বলছে এটি দুর্দান্ত হয়েছে। মাল্টিপ্লেক্সে ইনসাফের শোগুলো হাউজফুল যাচ্ছে। তবে শো কম দেওয়ায় অনেক দর্শকরা সিনেমাটি দেখার ইচ্ছে থাকলেও দেখতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে শো বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন সঞ্জয় সমদ্দার। তিনি বলেন, আমরা আশা করব আগামী শুক্রবার থেকে দর্শক চাহিদার কথা মাথায় রেখে মাল্টিপ্লেক্সে আমাদের ইনসাফের শো বাড়াবে।
সঞ্জয় সমদ্দার বলেন, শাকিব খান দেশের সেরা তারকা। তার সিনেমা সর্বাধিক শো পাবে। তার সিনেমা দেখতে দর্শকরা ভিড় করবে এটাই স্বাভাবিক। পাশাপাশি ইনসাফ সিনেমাও কিন্তু কোনো অংশে কম নয়। শাকিব খানের বাইরে অন্য সব তারকার ছবিগুলোকেও মাল্টিপ্লেক্সের সুযোগ বাড়ানো দরকার।
ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি মাল্টিপেপ্লেক্সে ইনসাফের শো বেড়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা। তিনি জানান, ঈদের তৃতীয় দিন ব্লকবাস্টারে শো ছিল তিনটা। সেটা বেড়ে পাঁচটা হয়েছে। এছাড়া সিনেমা হলের ব্যাপারে এক সপ্তাহ না গেলে কিছু বোঝা যাবে না। তবে হলের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেও আমার বিশ্বাস।
একেবারে মৌলিক গল্পের সিনেমা ইনসাফ। নির্মাতার ভাষ্য, ইনসাফ একটি বাংলাদেশী মৌলিক গল্পের সিনেমা। যেখানে আমরা দর্শককে বিনোদন দেয়ার সব আয়োজন করেছি। ইমোশন, অ্যাকশন, প্রেম সবই আছে এ সিনেমায়।
ইনসাফ সিনেমায় নায়ক হিসেবে আছেন শরিফুল রাজ। গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আছেন মোশাররফ করিম। এই সিনেমাটির মাধ্যমে পুরোপুরি বাণিজ্যিক সিনেমার নায়িকা হিসেবে অভিষিকক্ত হয়েছেন তাসনিয়া ফারিণ। ক্যামিও দিয়েছেন চঞ্চল ছৌধুরী।
সিনেমাটি প্রযোজনা করছে তিতাস কথাচিত্র। এ সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর চলচ্চিত্র প্রযোজনায় এসেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়াও টিওটি ফিল্মও এই সিনেমার প্রযোজক হিসেবে রয়েছে।গল্প ও চিত্রনাট্য লিখছেন নাজিম উদ দৌলা।