বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় ‘নীলচক্র’ দেখানো উচিত, এ কথা কেন বলছেন দর্শক?

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে বসুন্ধরা সিটির স্টার সিনেপ্লেক্স থেকে ‘নীলচক্র’ সিনেমা দেখে বের হওয়া এক অভিভাবক গণমাধ্যমে বলছেন, সিনেমাটি খুব ভাল হয়েছে। আমার মনে হয় এই সিনেমাটা বাংলাদেশের প্রতি উপজেলায় ‘নীলচক্র’ দেখানো উচিত। খুবই ভাল একটা সামাজিক সিনেমা। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি সমস্যা যেটা ডিজিটাল নিরাপত্তা এটা নিয়েই এই ‘নীলচক্র’ সিনেমা। সাহসী সিনেমা, এটাকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।
৬০ উর্ধ্ব এক নারীও বলছিলেন, ‘আমার মেয়ে মোবাইলে ব্যস্ত থাকে সবসময়, সেটা নিয়ে আমাদের অভিযোগের শেষ নেই। আজ একসঙ্গে আমরা সিনেমাটি উপভোগ করলাম। ইন্টারনেটের একটা ভুল কিভাবে আমাদের জীবন শেষ করে দিতে পারে সেটা দেখলাম। আমার মেয়েও সেটা উপলব্ধি করল।’
‘নীলচক্র’ সিনেমা যখন দর্শক সিনেমা হলে উপভোগ করছেন তখন সিনেমা হলে বসে বাবা সন্তানের হাত ধরছেন, এক তরুণী মুছছেন চোখের কোণ, পেছনের সারিতে একজন মা কানে কানে ছেলের সঙ্গে কিছু বলছেন
দর্শক বলছেন ‘নীলচক্র’ শুধু বিনোদনের সিনেমা নয়, এটা সমাসাময়িক গল্পের এমন একটি সাসপেন্স থ্রিলার যা, এখনকার ইন্টারনেট প্রজন্মকে সচেতন করছে।
যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস ‘নীলচক্র’ দেখে ফেরা একদল তরুণী বলছিলেন, ‘সিনেমাটি দেখে আমার মধ্যে সচেতনতা এসেছে। আমার একটা ব্যক্তিগত ভিডিও কিংবা ছবি আমার পুরো পরিবারকে শেষ করে দিতে পারে সেই ধারণা এলো। সিনেমায় আরিফিন শুভ দারুণ অভিনয় করেছেন, তাঁকে ও পরিচালককে ধন্যবাদ আমাদের দেশে আমার দেশের জন্য দরকারী এমন একটি গল্প নিয়ে সিনেমা করার জন্য।’
সিনেমাটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়াচ্ছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। এই সিনেমা প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য, ‘এই গল্প এখনকার। ইন্টারনেট যুগে একটা অসাবধান ক্লিক পুরো জীবন বদলে দিতে পারে– এটাই দেখানো হয়েছে। সাহসী বলেই করেছি, দরকারি বলেই করেছি। অনেকেই সিনেমাটি প্লট দেখে প্রশংসা করছেন জেনে ভাল লাগছে। অভিভাবক হোন বা তরুণ– যারা অনলাইনে থাকেন, সবারই দেখা উচিত। চোখ বন্ধ রাখলে বিপদ থেমে থাকে না।’
একটা ক্লিক, একটা ভিডিও, আর তাতেই পাল্টে যাচ্ছে জীবনের গতিপথ। শহরজুড়ে ফাঁস হচ্ছে একের পর এক ব্যক্তিগত ভিডিও। অন্ধকার, আতঙ্ক আর টানটান উত্তেজনায় মোড়ানো এক সময়ের গল্প নিয়ে পরিচালক মিঠু খানের ‘নীলচক্র: ব্লু গ্যাং’ এ এবার পর্দায় ফিরছেন আরিফিন শুভ। তাঁর বিপরীতে আছে মন্দিরা চক্রবর্তী।