রোহিঙ্গা নির্যাতন, স্বাধীন তদন্ত দাবি মিয়ানমারের সুশীলসমাজের

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনার আন্তর্জাতিকভাবে ‘স্বাধীন’ তদন্তের দাবি জানিয়েছে দেশটির ৪০টিরও বেশি সুশীলসমাজের সংগঠন।
আজ বুধবার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন ফর্টিফাই রাইটসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রাখাইন রাজ্যে মুসলিম রোহিঙ্গা এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষ কয়েক দশক ধরেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার হয়ে আসছে।
মিয়ানমারের সুশীলসমাজের সংগঠনের দেওয়া ওই বিবৃতিতে একটি ‘আন্তর্জাতিক স্বাধীন’ তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। যে কমিটি রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি পুরোপুরিভাবে তুলে আনবে এবং ভবিষ্যতের সমস্যা সমাধানে সরকারকে প্রয়োজনীর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে কার্যকর সুপারিশ করবে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশনের (ওআইসি)পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যখন মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে সরকারের ৫৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার করার কথা, তার ঠিক একদিন আগে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে এই দাবি তোলা হয়।
মানবাধিকার সংস্থা ফর্টিফাই রাইটসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ম্যাথিউ স্মিথ বলেন, এই উদ্যোগ দেশটির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের জন্য এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়, একটি বোর্ড গঠন করে নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন তদন্তে সহযোগিতা করার।
বিবৃতিতে বিভিন্ন নারী প্রধান সংগঠন, মানবাধিকার গ্রুপ, একাডেমিক প্রতিষ্ঠান এবং উন্নয়ন সংস্থা স্বাক্ষর করেছে, যারা দেশটিতে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীকে নিয়ে কাজ করে থাকে।
জাতিগত দ্বন্দ্বের জের ধরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। এ সময় রোহিঙ্গাদের ঘর-বাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
গত বছরের ৯ অক্টোবর রাখাইন রাজ্যের সীমান্তে নয়জন রক্ষীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ওই অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে বলে জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। তবে মিয়ানমার ওই খবর উড়িয়ে দিয়ে সেনা অভিযানে আটজন সাধারণ নাগরিক নিহতের খবর জানায়।
সহিংসতার শিকার হয়ে গত বছরের অক্টোবর থেকে প্রায় ৬৫ হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশু বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।