‘শিশুদের যত্ন নেব, কথা দিলাম’

কিশোর ফুটবল দলটির সঙ্গে একজনই ছিলেন পূর্ণ বয়স্ক। তিনি দলটির কোচ। অন্ধকার গুহায় আটকেপড়া কিশোররা স্বজনদের কাছে চিঠি লিখে নিজেদের অবস্থা জানায়। আর দলটির কোচ চিঠিতে লেখেন, ‘আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে শিশুদের যত্ন নেব, কথা দিলাম।’
থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহায় গত ২৩ জুন আটকা পড়ে ১৩ জন। যার ১২ জনই কিশোর। একাপোল চান্টাওং হচ্ছেন দলটির সহকারী কোচ। তাঁর বয়স ২৫ বছর। উদ্ধারের পর দেখা যায়, আটকেপড়াদের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বল তিনি। জানা যায়, গুহায় যে খাবার ছিল তা থেকে খুব কমই খেয়েছেন তিনি। বরং খেয়াল করেছেন অন্য কিশোররা ঠিকমতো খাবার পাচ্ছে কি না। নিজে খেলে কম পড়ে যায় কি না!
গুহায় ঢোকার পর বন্যার পানিতে আটকা পড়ে ওরা। নয়দিন পর্যন্ত কোনো খবরই ছিল না তাদের। গত ২ জুলাই ডুবুরিরা সন্ধান পায় তাদের।
গত শনিবার থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত একে একে ১৩ জনকে উদ্ধার করে ডুবুরিরা।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, কোচ একাপোলের জন্ম মিয়ানমারে। ছোটবেলায় মা ও বাবাকে হারান। ফুটবল কোচ হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় বৌদ্ধ মঠে কাটিয়েছেন। সেখানে তিনি ধ্যান করা শিখেছিলেন। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গুহায় আটকেপড়া কিশোরদের ধ্যানের বিভিন্ন দিকও শিখিয়ে দেন।
গুহায় প্রবেশের সময় কিছু খাবার সঙ্গে ছিল দলটির। তা দিয়ে নয়দিন চলে। ওই সময়টায় কিশোরদেরই খাইয়েছেন কোচ।
বাসায় নানি আর খালা আছে একাপোলের। তাঁদের কাছে চিঠি লেখেন তিনি। নির্দিষ্ট খাবার তালিকা দিয়ে চিঠিতে লেখেন, এসব প্রস্তুত রেখ। আমি আসছি।’