পলাতক নারীদের ৯৬ শতাংশই সৌদি

সৌদি আরবের মক্কা অঞ্চলের ঘর-পালানো নারীদের মধ্যে ৯৬ দশমিক ৩ শতাংশই সৌদি। বাকি ৩ দশমিক ৭ শতাংশ নারী সৌদি নাগরিক নন।
সম্প্রতি মক্কার ইউনিভার্সিটি অব উম্ম আল-কারা এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরেছে।
ওই প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার আরব নিউজের এক খবরে বলা হয়, মক্কা অঞ্চলের ঘর-পালানো নারীদের ৫১ দশমিক ৯ শতাংশ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া, ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়পড়ুয়া ও ১১ দশমিক ৭ শতাংশ মাধ্যমিক বিদ্যালয়পড়ুয়া শিক্ষার্থী।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পলাতক নারীদের ৫৪ শতাংশের বয়স ১৭-২১, ২৪ দশমিক ৬ শতাংশের বয়স ২২-২৬, ১৫ শতাংশের বয়স ১৬ বছরের কম ও ৫ শতাংশের বয়স ২৭ বছরের বেশি।
ইউনিভার্সিটি অব উম্ম আল-কারা বলছে, ঘর পলাতক নারীদের ৮৬ দশমিক ১ শতাংশ অবিবাহিত, ১০ দশমিক ২ শতাংশ বিবাহিত ও দশমিক ৫ শতাংশ বিধবা বা বিচ্ছেদ হয়েছে এমন।
তথ্যমতে, পলাতক অবিবাহিত নারীদের ৮১ দশমিক ৩ শতাংশ বাবা-মা, ৮ দশমিক ৬ শতাংশ মা, ২ দশমিক ১ শতাংশ আত্মীয় ও ১ দশমিক ৬ শতাংশ বাবার সঙ্গে বাস করত।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মক্কা থেকে পলাতক নারীদের ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ ৭-৯ সদস্য, ৩৪ দশমিক ৮ শতাংশ ৪-৬ সদস্য, ১৩ দশমিক ৯ শতাংশ ১০ সদস্যের বেশি ও ৩ দশমিক ৭ শতাংশ ৩ বা তার কম সদস্যের পরিবারে বাস করত।
আরব নিউজ বলছে, মক্কা অঞ্চলে এ ধরনের গবেষণা প্রতিবেদন এটাই প্রথম।
প্রতিবেদনে সৌদি নারীদের পলায়ন প্রবণতার কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের অপব্যবহার, খারাপ বন্ধু, ব্যক্তিস্বাধীনতা নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, অন্য সংস্কৃতি অনুসরণ, দুর্বল বিশ্বস, মানসিক নিরাপত্তার অভাব, অভিযান বা বেড়ানোর উদ্দেশ্যে, স্বামীর দুর্ব্যবহার, বাকস্বাধীনতার অভাব, গালাগালি, দারিদ্র্য, অভিভাবকের অবহেলা ও বাবা-ভাইয়ের দুর্ব্যবহার বা মারধরের কারণে সৌদি নারীরা ঘর পালাচ্ছেন।
মক্কার শিক্ষা অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রত্যেক নারীকে শারীরিক, মানসিকভাবে সুস্থ ও নিরাপদে থাকতে দিতে হবে। যে শিশু মানসিকভাবে নিরাপদ বোধ করে না, সে স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠিতে পারবে না।
পরিবারের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরে এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব পরিবারে সদস্যদের অবহেলা ও অসহযোগিতার কারণে সৌদি নারীদের মধ্যে পলায়নের ঝোঁক সৃষ্টি করে। পাশাপাশি সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকাও এখানে বড় একটি বিষয়। সবার উচিত সমস্যার মূল্যে দৃষ্টি দেওয়া।