নতুন অস্ত্রে সৌদি আরবের যুদ্ধসাজ

যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নতুন যুদ্ধাস্ত্র কিনে নতুন সাজে সাজছে সৌদি আরবের সেনাবাহিনী। সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে দি ইনডিপেনডেন্ট পত্রিকা।
সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরব ও তার উপসাগরীয় মিত্র দেশগুলো মিলে ইয়েমেনে শিয়াপন্থী হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে। এই যুদ্ধ চালানোর জন্য আরো বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কেনার পদক্ষেপ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের এসব সরঞ্জাম কেনা হচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ড্যানি হিনলিংগারের বরাতে পত্রিকাটি জানায়, চলতি বছরে ১১৫ কোটি ডলার মূল্যের ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধ-সরঞ্জাম কিনছে সৌদি আরব। আর এসব অস্ত্র কেনার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা সদর দপ্তর তথা পেন্টাগনের এক কর্মকর্তাও এই অনুমোদনের কথা জানান। পেন্টাগন জানিয়েছে, ১৩০টি আবরামস যুদ্ধট্যাঙ্ক, যুদ্ধে ব্যবহৃত ২০টি গাড়িসহ অন্যান্য যুদ্ধ-সরঞ্জাম বিক্রি করা হবে সৌদি আরবের কাছে।
এদিকে, বিপুল পরিমাণ এই অস্ত্র বিক্রির প্রেক্ষাপটে বিদেশে অস্ত্র বিক্রি পর্যবেক্ষণকারী যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সমন্বয় সংস্থা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশযান, অস্ত্র, যুদ্ধ-সরঞ্জামসহ প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণ কোম্পানি জেনারেল ডায়নামিকস এ কাজের ঠিকাদারি পাবে। এ ছাড়া অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে আঞ্চলিক মিত্র দেশের নিরাপত্তার উন্নতি ঘটবে এবং তা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তায় অবদান রাখবে বলেও জানায় ওই সংস্থাটি।
বিশেষ প্রতিরক্ষা নিরাপত্তা সমন্বয় সংস্থা আরো জানায়, এসব যুদ্ধ-সরঞ্জাম যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনীগুলোর সঙ্গে সৌদি আরবের রয়্যাল সৌদি ল্যান্ড ফোর্সের (স্থলবাহিনী) অভ্যন্তরীণ অভিযান ক্ষমতা বাড়াবে। সৌদি আরবের নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকতে পারবে এবং তাদের সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন হবে।
তবে ইনডিপেনডেন্টের খবর অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র বিভাগ অনুমোদন দিলেও সৌদি আরবের কাছে যুদ্ধ-সরঞ্জাম বিক্রি করতে দেশটির জাতীয় কংগ্রেসের অনুমোদন লাগবে। তবে কংগ্রেসে অস্ত্র বিক্রির বিষয়টি স্থগিতও হয়ে যেতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন দেশটির আইনপ্রণেতাদের কয়েকজন।