গাজায় বন্দিমুক্তি ও ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাব

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শুরু হওয়া আলোচনায় নতুন করে কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৬ মে) দেওয়া এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, হামাসের হাতে আটক থাকা ১০ জন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি, ৭০ দিন মেয়াদী একটি যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে আংশিকভাবে কিছু ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো। খবর এএফপির।
গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি দুই মাসের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর কয়েক দফা আলোচনায় কোনো সিদ্ধান্তে না পৌঁছতে পারা এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নতুন করে আক্রমণের তীব্রতা বাড়ানোর মধ্যেই নতুন করে এই প্রস্তাবগুলো দুপক্ষকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সমঝোতার লক্ষ্যে আলোচনায় থাকা হামাস ও ইসরায়েলি পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফের দেখানো লক্ষ্যে এই প্রস্তাবগুলো নতুন অগ্রগতির বার্তা দিচ্ছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, ইসরায়েলের পক্ষ থেকে ৭০ দিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার বিনিময়ে হামাসের হাতে থাকা ১০ জন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তির প্রসঙ্গটি। এ ছাড়া গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর আংশিক প্রত্যাহার ও ইসরায়েলি কারাগার থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যার ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির প্রসঙ্গটিও রয়েছে।
সূত্র আরও জানিয়েছে, আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার–এই দেশগুলোর মধ্যে কার কাছ থেকে এসব প্রস্তাবনা এসেছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে গত কয়েকদিন এসব বিষয় নিয়েই মধ্যস্থতাকারীরা আলোচনা করেছেন বলে জানানো হয়েছে।

প্রস্তাব অনুযায়ী, চুক্তি বাস্তবায়নের প্রথম সপ্তাহে পাঁচজন ইসরায়েলি পণবন্দিকে মুক্ত করতে হবে এবং যুদ্ধবিরতির সময়কাল শেষ হওয়ার আগে আরও পাঁচজন বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে।
ফিলিস্তিনি আলোচনাকারীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, এসব প্রস্তাব হামাস ও ইসরায়েল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং দুপক্ষ তাদের মতামত মধ্যস্থতাকারীদের সামনে তুলে ধরবে।
সম্প্রতি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তাদের হামলা আরও তীব্র করে হামাসকে নির্মূলের ঘোষণা দেয়। এর আগে মার্চের ১৮ তারিখে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করে গাজায় নতুন করে হামলা শুরু করে।
গত ২ মার্চ ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা সামগ্রী প্রবেশের সব পথ বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই জাতিসংঘ যুদ্ধবিধ্বস্ত এই উপকূলীয় এলাকায় খাদ্য, সুপেয় পানি, জ্বালানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের কথা জানিয়ে আসছে। তবে গত সপ্তাহে ইসরায়েল এই অবরোধ কিছুটা শিথিল করে।