হাজীদের সেবায় এআই প্রযুক্তিসহ আধুনিক ব্যবস্থা সৌদির

হজ মৌসুমে হাজীদের নিরাপত্তা ও সেবায় একাধিক আধুনিক ব্যবস্থা নিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজমন্ত্রী তৌফিক আল-রাবিয়া জানিয়েছেন, এবারের হজে তীব্র তাপদাহ মোকাবিলায় ছায়াযুক্ত এলাকা বৃদ্ধি, হাজার হাজার কুলিং ইউনিট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সাহায্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
গত বছর ৫১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক হাজার ৩০০–এর বেশি হাজী প্রাণ হারান। সেই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার দুই লাখ ৫০ হাজারের বেশি কর্মী ও ৪০টিরও বেশি সরকারি সংস্থা কাজ করছে হজ ব্যবস্থাপনায়। ৫০ হাজার বর্গমিটার নতুন ছায়া এলাকাসহ ৪০০টিরও বেশি মিস্টিং (জলীয় বাষ্প ছড়ানো) মেশিন স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া, ভিডিও ড্রোন ও নজরদারির জন্য নতুন এআই সফটওয়্যারের ব্যবহারে হাজীদের চলাচল ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে থাকবে প্রযুক্তি সহায়তা। অতীতের মতো যেন কোনো পদদলিত বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সেইজন্য বাস্তব সময়ে তথ্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে কর্তৃপক্ষ।
দেশটির হজমন্ত্রীর মতে, এবছর ইতোমধ্যে বিশ্বের নানা দেশ থেকে ১০ লাখের বেশি হাজী সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। জুনের ৪ তারিখ থেকে শুরু হবে হজ, যা চলবে অন্তত চারদিনব্যাপী এবং বেশিরভাগ আনুষ্ঠানিকতা হবে খোলা আকাশের নিচে।
এদিকে, এবারও সৌদি সরকার অননুমোদিত হাজীদের প্রবেশ রোধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। কারণ গতবারের মৃত্যুর অধিকাংশই ঘটেছিল অনুমতি না থাকা হাজীদের মধ্যে। মক্কায় প্রবেশে কঠোর নজরদারি, অনুমতি ছাড়া ধরা পড়লে ১০ বছরের নিষেধাজ্ঞা এবং বড় জরিমানার বিধান করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, “নিরাপত্তা এবং সেবা নিশ্চিত করতে হজে অনুমতিপত্র থাকা অত্যন্ত জরুরি। এই বিষয়ে মুসলিম উম্মাহর সহযোগিতা কামনা করি।”
হজ ইসলাম ধর্মের পঞ্চস্তম্ভের একটি এবং শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলমানদের জীবনে একবার হজ পালন করা ফরজ। সৌদি নেতৃত্ব এই ইবাদতের গুরুত্ব উপলব্ধি করে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন—“এটা আমাদের জন্য শুধু দায়িত্ব নয়, এক পবিত্র কর্তব্য।”