গাজার সব অধিবাসী দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে : জাতিসংঘ

‘গাজা এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত অঞ্চল’ এমন ঘোষণা দিয়ে জাতিসংঘ শুক্রবার (৩০ মে) হুঁশিয়ার করে বলেছে, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সব লোক এখন দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
গত মার্চে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সঙ্গে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েল নতুন করে অভিযান শুরুর পর চলতে থাকা আলোচনায় কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি কেউই। আর তাই ২০ মাস ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ থেমে যাওয়ারও কোনো লক্ষণও নেই।
এমন অবস্থায় গাজাবাসীর দুর্দশার কথা তুলে ধরতে গিয়ে জাতিসংঘের মানবিক সাহায্য সংস্থা ওসিএইচএ’র মুখপাত্র জেন্স লায়ের্ক বলেছেন, গাজা হলো এই মুহূর্তে পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষুধার্ত অঞ্চল।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের ভিন্ন বার্তাকে প্রত্যাখ্যান করে লায়ের্ক আরও বলেন, এটি হচ্ছে এমন একটি দেশ বা দেশের একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ড যার প্রতিটি লোক দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মুখে। এখানকার শতকরা ১০০ ভাগ লোকই দুর্ভিক্ষের মুখে। খবর এএফপির।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে লায়ের্ক জানান, গাজা উপত্যকায় মানবিক সাহায্যপণ্য সরবরাহে জাতিসংঘেকে কী পরিমাণ বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে।
সম্প্রতি ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় সাহায্যপণ্য পাঠাতে যে অবরোধ আরোপ করেছিল, তা কিছুটা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ২ মার্চ থেকে সেখানে কোনো সাহায্যপণ্যই প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আর এ কারণে খাবার ও ওষুধের তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে ফিলিস্তিনি এই ভূখণ্ডে। এ প্রসঙ্গে জেন্স লায়ের্ক আরও বলেন, মানবিক সহায়তাপণ্য বহন করা ৯০০টি ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল গাজায়। তবে সেখানে ৬০০টি ট্রাকের পণ্য খালাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকে নিরাপত্তা ঝুঁকির ইস্যুতে ফিরে যেতে হয়েছে।

সাহায্যপণ্য বিতরণের এই প্রক্রিয়াকে পৃথিবীর সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ‘বিঘ্নিত’ কর্মকাণ্ড হিসেবেও অভিহিত করেছেন লায়ের্ক।