চীনের সঙ্গে বাণিজ্য বিরোধ কমতে পারে, ইঙ্গিত যুক্তরাষ্ট্রের

মার্কিন কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে সম্ভাব্য আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য অচলাবস্থা কমে যেতে পারে। তারা জানিয়েছেন, এই আলোচনা শিগগিরই অনুষ্ঠিত হবে। রোববার (১ জুন) বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার (৩১ মে) ট্রাম্প বেইজিংকে গত মাসে জেনেভায় সম্পাদিত চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ একে অপরের ওপর আরোপিত শুল্ক সাময়িকভাবে কমিয়ে আনার জন্য ৯০ দিনের বিরতি নিয়েছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল শুক্রবার (৩১ মে) জানিয়েছিল, গাড়ি ও চিপ তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় বিরল মাটি ও অন্যান্য উপাদানের রপ্তানি লাইসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে চীনের ধীরগতি মার্কিন হতাশাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা এই উদ্বেগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট রোববার সিবিএসের ‘ফেস দ্য নেশন’-কে বলেছেন, এই ব্যবধানগুলো শিগগিরিই পূরণ করা যেতে পারে। বেসেন্ট বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, যখন ট্রাম্প এবং শি জিনপিং আলোচনায় বসবেন তখন এটি সমাধান করা হবে’।

ট্রাম্প-শি কখন ফোন করতে পারেন সে সম্পর্কে বেসেন্ট বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমরা খুব শিগগিরই কিছু দেখতে পাব।’
হোয়াইট হাউসের জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের পরিচালক কেভিন হ্যাসেট এবিসিকে বলেন, ফোন এই সপ্তাহে হতে পারে, তবে তার কাছে নির্ধারিত সময়ের কোনো নিশ্চয়তা নেই।
ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে আসার পর থেকে বেশিরভাগ মার্কিন বাণিজ্য অংশীদারদের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেছেন, বিশেষ করে চীনা আমদানির ওপর উচ্চ কর আরোপসহ। এই মাসে উত্তেজনা হ্রাসের আগে উভয় পক্ষের নতুন ‘যথাযথ’ শুল্ক তিন অঙ্কে পৌঁছেছিল, যেখানে ওয়াশিংটন চীনা আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ক সাময়িকভাবে ১৪৫ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশে কমিয়ে আনতে সম্মত হয়েছিল। এদিকে, চীন তার অতিরিক্ত শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।