হামলায় যেসব ক্ষতি হলো ইরানের

ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলি হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুইশতাধিক ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ইরানের শতাধিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দিনগত রাতে এ হামলা চালানো হয়।
হামলায় এ পর্যন্ত ইরানের শীর্ষ তিন কমান্ডার এবং ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রাজধানী তেহরানরে সরকারি ভবন হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানায়, হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইরানের অভিজাত ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) এর প্রধান মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি এবং খাতাম আল-আম্বিয়া কেন্দ্রীয় সদর দপ্তরের কমান্ডার মেজর-জেনারেল গোলাম আলী রশিদ নিহত হয়েছেন।
তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সির বরাতে এএফপি জানায়, অন্তত ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছে। তারা হলেন-আবদোলহামিদ মিনুচেহর, আহমাদরেজা জোলফাঘরি, আমির হোসেইন ফেকি, মোতাল্লেবলিজাদেহ, মোহাম্মদ মেহেদি তেহরানচি ও ফেরেদউন আব্বাসী।
এদিকে ইরানের ওপর ইসরায়েলের সামরিক হামলার পর জর্ডান ও ইরাক শুক্রবার (১৩ জুন) তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। এছাড়া সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করেছে।
জর্ডানের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আঞ্চলিক উত্তেজনার ফলে সৃষ্ট যেকোনো ঝুঁকির বিরুদ্ধে সতর্কতা হিসেবে রাজ্যের আকাশসীমা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আগত, বহির্গামী ও পরিবহণে থাকা সমস্ত বিমানের জন্য বিমান চলাচল স্থগিত করা হয়েছে।
হামলার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা করেছেন, ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে তাদের সামরিক অভিযান ‘যতদিন প্রয়োজন’ ততদিন চলবে। এদিকে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েলের দিকে প্রায় ১০০টি ড্রোন নিক্ষেপ করেছে ইরান।