ট্রাম্পের ইরানে হামলা ছিল লোকদেখানো : খামেনি

ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাত শেষে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এই ভাষণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরানে চালানো সামরিক হামলাকে ‘শোম্যানশিপ’ বা লোকদেখানো বলে অভিহিত করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে খামেনির এই ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। খবর আলজাজিরা।
খামেনি তার ভাষণে দাবি করেন, ইসরায়েলের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ভেদ করে তাদের শহুরে ও সামরিক এলাকাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করতে সক্ষম হয়েছে ইরানের সশস্ত্র বাহিনী। একই সঙ্গে তিনি জোর দিয়ে বলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালেও খুব বেশি কিছু অর্জন করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ভবিষ্যতে ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের জন্য আগ্রাসনকারীকে ‘অনেক বড় মূল্য’ দিতে হবে।
খামেনি আরও উল্লেখ করেন, ইরানের প্রধান মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে প্রবেশাধিকার ও সেগুলোতে পৌঁছানোর সক্ষমতা ইরানের জন্য একটি ‘মহান বিষয়’। ভবিষ্যতে নতুন করে আগ্রাসন হলে এর পুনরাবৃত্তি হতে পারে। খামেনির মতে, ইরানের শত্রুরা ক্ষেপণাস্ত্র বা পারমাণবিক কর্মসূচির মতো অজুহাত ব্যবহার করে, কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো ইরানকে আত্মসমর্পণ করানো।

গত ১৩ জুন ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর খামেনি জনসমক্ষে আসেননি। নিরাপত্তার স্বার্থে তিনি গোপন স্থানে চলে যান বলে জানা গেছে। গত ২৪ জুন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই দিন পর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিলেন খামেনি।