থেমে গেছে যুদ্ধবিরতি আলোচনা, গাজায় অভিযান জোরদারের আহ্বান ট্রাম্পের

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে দিন দিন বাড়ছে দুর্ভিক্ষ আর মানবিক সংকট। সম্প্রতি কাতার,মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির আশা তৈরি হয়েছিল। তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে সেই আলোচনা আপাতত থেমে গেছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ শনিবার (২৬ জুলাই) এ খবর জানায় সিএনএন।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কয়েক সপ্তাহ আগেও বলেছিলেন, দ্রুতই গাজায় যুদ্ধ থামবে, জিম্মিরা মুক্তি পাবে ও সেখানে ত্রাণ পৌঁছানো সহজ হবে। কিন্তু এখন সেই আশা যেন উধাও। যুক্তরাষ্ট্র জানায়, হামাস আলোচনায় ‘সমন্বয়’ করেনি এবং গোষ্ঠীটির ‘সদিচ্ছার অভাব’ ছিল। এরপরই নিজেদের প্রতিনিধিদের যুদ্ধবিরতি আলোচনা থেকে সরিয়ে নিয়েছেন ট্রাম্প। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করতে তারা এখন ‘বিকল্প উপায়’ খুঁজছেন।
স্কটল্যান্ডে সাপ্তাহিক ছুটি কাটাতে যাওয়ার আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৫ জুলাই) ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইসরায়েলের জন্য সামরিক অভিযান বাড়ানোর সময় এসেছে। হামাস সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারা মরতে চায়, এটা খুবই, খুবই খারাপ। এমন একটা পর্যায়ে পৌঁছেছে যখন তোমাকে ‘কাজটি’ শেষ করতে হবে।
ট্রাম্পের এই মনোভাবের পরিবর্তন আলোচনার প্রকৃত ভাঙন নাকি হামাসকে চাপ দেওয়ার কৌশল, তা পরিষ্কার নয়। তবে তার কথাগুলো থেকে বোঝা যায়,গাজায় ২১ মাস ধরে চলা সামরিক অভিযান বন্ধ করতে তিনি ইসরায়েলকে খুব বেশি চাপ দেবেন না। এই সপ্তাহে জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা গাজার বাসিন্দাদের ‘চলমান মৃতদেহ’ বলেও উল্লেখ করেছেন।

ইসরায়েলকে হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ‘পরিষ্কার’ করতে বলছেন ট্রাম্প। এটি প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে একটি স্পষ্ট স্বীকারোক্তি যে, তার যুদ্ধবিরতি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
তবে অঞ্চলের অন্যান্য সূত্র থেকে ভিন্ন ইঙ্গিতও পাওয়া গেছে। মিশর ও কাতার জানিয়েছে, তারা গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা চালিয়ে যাবে। তারা আলোচনার এই সাময়িক স্থগিতাদেশকে ‘জটিল আলোচনার প্রেক্ষাপটে স্বাভাবিক’ বলে মন্তব্য করেছে। একজন জ্যেষ্ঠ ইসরায়েলি কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেছেন, আলোচনা মোটেই ভেঙে পড়েনি। এটি আবার শুরু হওয়ার সুযোগ এখনো আছে।
আলোচনার মূল বিতর্কিত বিষয়গুলো হলো- কীভাবে এবং কখন স্থায়ীভাবে যুদ্ধ শেষ হবে, কতজন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে। একইসঙ্গে গাজায থেকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সরানো হবে কিনা। মার্নি প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই আলোচনায় ব্যর্থতার জন্য সরাসরি হামাসকে দায়ী করেছেন।