ফের হোয়াইট হাউসে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে হোয়াইট হাউসে সোমবার (১৮ আগস্ট) আরেকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে তীব্র বিতর্কের পর এই প্রথম জেলেনস্কি ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। সেই বিতর্কিত ঘটনার পর দুই নেতার সম্পর্ক পুনরুদ্ধার ও তাদের মধ্যকার টানাপোড়েন দূর করতে পর্দার আড়ালে ইউরোপীয় নেতাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। খবর বিবিসির।
গত ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্যান্সের কঠোর মন্তব্যের পর জেলেনস্কিকে হোয়াইট হাউজ থেকে কার্যত বের করে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনা আন্তর্জাতিক কূটনীতির ইতিহাসে এক বিরল দৃশ্য ছিল। তখন এই দুই নেতার সম্পর্ক পুনরুদ্ধার করা কঠিন মনে হয়েছিল।
তবে, পরবর্তী মাসগুলোতে ইউরোপীয় নেতারা এই সম্পর্ক মেরামতের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেন। তারা জেলেনস্কিকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেন, যাতে তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে ‘চুক্তি তৈরির’ ভাষায় কথা বলতে পারেন ও তাকে প্রভাবিত করতে পারেন।
একই সময়ে, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রাখায় ট্রাম্পও বুঝতে পারেন, ভ্লাদিমির পুতিন বৈঠকে যা বলেন, বাস্তবে তিনি তা করেন না।

এপ্রিল মাসে ইউক্রেন একটি খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে আর্থিক অংশীদারিত্ব পায়। এরপর ট্রাম্প ও জেলেনস্কি ভ্যাটিকানে একান্তে কথা বলেন ও ইউক্রেন আমেরিকান অস্ত্রের জন্য অর্থ দিতে ইচ্ছুক বলে জানায়। জুলাই মাস নাগাদ দুই নেতা ফোনে কথা বলা শুরু করেন ও জেলেনস্কি এটিকে ‘আমাদের মধ্যে সেরা কথোপকথন’ বলে বর্ণনা করেন।
ট্রাম্পের তোষামোদের প্রতি ঝোঁক ও শক্তিশালী নেতাদের মাধ্যমে মুগ্ধ হওয়ার বিষয়টি ইউক্রেনের জন্য উদ্বেগের কারণ। তবে, জেলেনস্কি এখন তার ভালো বন্ধু জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জের মতো ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে ‘ভালো পরামর্শ’ পাচ্ছেন, যা তাকে সোমবারের বৈঠকের জন্য প্রস্তুত হতে সাহায্য করছে।