ইন্দোনেশিয়ায় সহিংস বিক্ষোভে নিহত ৬, কঠোর নিরাপত্তা জোরদার

ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন শহরে তীব্র সহিংস বিক্ষোভে ছয়জন নিহত হওয়ার পর দেশটির সরকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করেছে। অর্থনৈতিক সংকট ও আইনপ্রণেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ আন্দোলন রূপ নেয় সহিংসতায়।
গত বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দেশটির রাজধানী জাকার্তায় ২১ বছর বয়সী আফফান কুরনিয়াওয়ান নামে এক মোটরসাইকেল চালককে পুলিশের একটি বিশেষ ইউনিট গাড়ি চাপা দিলে উত্তেজনা আরও ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে যোগ্যাকার্তা, বান্দুং, সেমারাং, সুরাবায়া ও উত্তর সুমাত্রার মেদান শহরে। এটি প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো সবিয়ান্তোর ক্ষমতা গ্রহণের পর সবচেয়ে বড় অস্থিরতা বলে মনে করা হচ্ছে। খবর আল জাজিরার।
প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো ইতোমধ্যে বিতর্কিত সুবিধা প্রদানের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাজধানী জাকার্তায় সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে চেকপয়েন্ট বসানো হয় এবং সশস্ত্র পুলিশ টহল শুরু করে। রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে সংসদ ভবনের সামনে টহল দিতে পাঠানো হয় সাঁজোয়া যান ও মোটরসাইকেল বহর।
বিক্ষোভের সহিংসতায় ইতোমধ্যে মাকাসার শহরে একটি কাউন্সিল ভবনে অগ্নিসংযোগে তিনজন নিহত হয়েছেন। একই শহরে আরও একজনকে গুপ্তচর সন্দেহে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়। যোগ্যাকার্তার আমিকম বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চিত করেছে যে তাদের ছাত্র রেজা সেন্ডি প্রতামা বিক্ষোভে নিহত হয়েছেন, তবে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও পরিষ্কার নয়।

বিক্ষোভের কারণে প্রেসিডেন্ট প্রাবোয়ো চীনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে আয়োজিত সামরিক কুচকাওয়াজে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছেন। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী স্যাফ্রি সামসুদ্দিন রোববার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সেনা ও পুলিশ “দাঙ্গাবাজ ও লুটেরাদের” বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

অবস্থার অবনতির আশঙ্কায় টিকটকও শনিবার ইন্দোনেশিয়ায় তাদের লাইভ ফিচার সাময়িকভাবে কয়েক দিনের জন্য স্থগিত করেছে।