মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে : শাহরিয়ার কবির

একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেছেন, মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। দেশভাগের পর থেকেই মৌলবাদীরা দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বিরোধিতা করে আসছে। তাই নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে এদের প্রতিহত করতে হবে।
শনিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ শহরের সাবিস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবীর এসব কথা বলেন। ‘বিএনপি-জামায়াত মদদপুষ্ট স্বাধীনতাবিরোধী জঙ্গিবাদী তৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গণজমায়েত’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি মানিকগঞ্জ জেলা শাখা।
অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার কবীর বলেন, যারা ধর্মের নামে রাজনীতি করে তারাই মুক্তচিন্তার লেখক, ব্লগার ও প্রকাশকদের হত্যা করছে। ধর্মের নামে রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। বাহাত্তরের সংবিধান চালু করতে না পারলে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।
পুলিশের সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে শাহরিয়ার কবীর বলেন, পাশের দেশ ভারতে প্রতি ৫০০ জন নাগরিকের জন্য একজন করে পুলিশ রয়েছে। আর বাংলাদেশে এক হাজার ১০০ লোকের জন্য রয়েছে একজন পুলিশ। তাই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও বেতন দিয়ে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
মানিকগঞ্জ জেলা ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি দীপক ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল, কার্যকরী সদস্য ডা. নুজহাত চৌধুরী শম্পা, মানিকগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার তোবারক হোসেন লুডু, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ওবাইদুল ইসলাম ইয়াকুব, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি মনজুর আহম্মেদ, সিপিবির জেলা সভাপতি আজহারুল ইসলাম আরজু, গণজাগরণ মঞ্চের জেলা আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মামুন।
ব্ক্তারা বলেন, জঙ্গিদের প্রতিরোধ করতে পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। জঙ্গিরা যেখানে অত্যাধুনিক অস্ত্র এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করছে সেখানে বাংলাদেশের পুলিশ রয়েছে অনেক পেছনে। তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কেবল প্রতিবাদ করলেই হবে না, এখন সময় এসেছে প্রতিরোধ গড়ে তোলার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের এই প্রতিরোধযুদ্ধে একতাবদ্ধ হওয়ার আহ্বানও জানান বক্তারা।