ডিসি-এসপিদের নজরদারি করতে বলছে নির্মূল কমিটি

নির্বাচনকেন্দ্রিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতা রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে দাবি জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) কার্যালয়ে সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের কাছে এ দাবি তুলে ধরে নির্মূল কমিটির একটি প্রতিনিধিদল।
প্রতিনিধিদলের দাবি, ভোটকেন্দ্রে কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার আগে তাঁর অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে।
বৈঠকে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির, সাধারণ সম্পাদক কাজী মুকুল ও ব্যারিস্টার নাদিয়া চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে লিখিত আবেদনে কমিটির সাত দফা দাবি জানানো হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের ভোটাধিকার নিশ্চিতে নির্বাচন কমিশন সচেতন রয়েছে বলে জানান শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। তিনি বলেন, ‘মাঠে দায়িত্বে থাকা ভোটের মূল কাজটা করেন ডিসি, এসপি, ওসি। এদের মনিটরিং করতে হবে। তাদের অতীত কর্মকাণ্ড দেখে, তাদের কাজে সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস থাকলে ভোটের দায়িত্ব থেকে এসব কর্মকর্তাকে বদলি করতে হবে।’
শাহরিয়ার কবির বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভোটে সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। এ পর্যন্ত চার ধাপে অন্তত পক্ষে ৮০ জন ব্যক্তি নিহত ও পাঁচ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় আক্রমণের তথ্যও গণমাধ্যমে এসেছে।
পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে গত ২০ মে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সহিংসতার শিকার শতাধিক ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যও নিয়েছে বলে শাহরিয়ার কবির জানান। তিনি বলেন, ‘জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীলদের বদলি করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি দায়বদ্ধদের দায়িত্ব দিতে হবে।’