পদ্মা সেতুতে রেকর্ড যানবাহন পারাপার, আয় সাড়ে ৫ কোটি

পূর্বের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন মাইলফলক স্থাপন করেছে পদ্মা সেতু। গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, যা সেতু উদ্বোধনের পর একদিনে সর্বোচ্চ। একই দিনে পূর্বের সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যানবাহন থেকে পাঁচ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা টোল আদায় হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৬ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্ত হয়ে সর্বোচ্চ ৫১ হাজার ৩১৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল। আর সর্বোচ্চ টোল আদায়ের পূর্বের রেকর্ড ছিল ২০২৪ সালের ৯ এপ্রিলের চার কোটি ৮৯ লাখ ৯৪ হাজার ৭০০ টাকা। এবারের ঈদুল আজহার ছুটি শুরুর প্রথম দিনেই এই দুটি রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস গড়ল পদ্মা সেতু।
পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে মোট ৭টি বুথে যানবাহনের টোল আদায় করা হচ্ছে। এছাড়া পুরো সেতুকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় এনে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, যাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকে।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই সেতুর মাওয়া প্রান্তে দক্ষিণবঙ্গগামী যানবাহনের তীব্র চাপ লক্ষ্য করা গেছে। এতে কখনও কখনও যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান, মঙ্গলবার (৩ জুন) সকাল ৬টার পর থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, বিশেষ করে মোটরসাইকেলের সংখ্যা প্রচুর। এই চাপ সামাল দিতে টোল আদায়ের জন্য আরও দুটি অস্থায়ী বুথ স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে সেতু এলাকায় মোট ৩টি বুথের মাধ্যমে মোটরসাইকেলের টোল আদায় করা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পদ্মা সেতু এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি টহল টিম রাখা হয়েছে।
পদ্মা সেতু উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের আলাদা টহল টিম মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা এড়াতে এবং ওভারটেকিং বন্ধে স্পিড গানের মাধ্যমে যানবাহনের অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে।
হাঁসাড়া হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ৮টি ইউনিট কাজ করছে। সতর্কতামূলক মাইকিংও করা হচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার বাহিনীও নিরাপত্তায় সহযোগিতা করছে।